ফের বাড়ছে করোনা! রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারগুলো মনে আছে তো?
আবারও ভয় ধরাচ্ছেন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ফের বাড়তে শুরু করেছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো তথ্য বলছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
ফলে এ নিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৮ হাজার ১৩০ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারপরও সতর্ক ও সচেতন থাকার কোনো বিকল্প নেই।
তাইতো করোনার লক্ষণ ও প্রতিকারগুলো ফের মনে করিয়ে দেয়া। কি মনে আছে তো? না থাকলে জেনে নিন।
বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, এই ভাইরাসটি একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে। এরপর মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই ভাইরাসটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। সাধারণত ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে।
যেসব লক্ষণ দেখা দেয়
করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হলো শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, গলা ব্যথা। তার সঙ্গে থাকে জ্বর এবং কাশি। শরীরে ব্যথা, ত্বকে ফুসকুড়ি, ডায়রিয়া। অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া। স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারানো, ক্লান্তি বোধ হওয়া। হতে পারে নিউমোনিয়াও।
সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ দিন সময় নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কিছু কিছু গবেষকের মতে, এর স্থায়িত্ব ২৪ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
মানুষের মধ্যে যখন ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেবে তখন বেশি মানুষকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে তাদের। তবে এমন ধারণাও করা হচ্ছে যে নিজেরা অসুস্থ না থাকার সময়ও সুস্থ মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে মানুষ।
রোগের প্রতিকার
যারা ইতোমধ্যে করোনার ভ্যাকসিনের চারটি ডোজই নিয়েছেন, তাদের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবুও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন, যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কারণ, চিকিৎসা বিজ্ঞাপনীরা এমন গ্যারান্টি দেননি যে, ভ্যাকসিন নিলে করোনা হবে না। তাই প্রতিকার জানা থাকা জরুরি।
যেসব বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে
১। যারা ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বা এই ভাইরাস বহন করছেন- তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।
২। ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন বার বার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ অর্থাৎ মাস্ক পরা।
৩। আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলেও মুখোশ পরুন। নিজে অসুস্থ না হলেও অন্যের সংস্পর্শ এড়াতে মুখোশ পরুন। কেননা চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসে কমপক্ষে ১৫ জন চিকিৎসাকর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন।
করোনার কোনো চিকিৎসা নেই। তাই সতর্ক আর সচেতনতাই বাঁচাতে পারে প্রাণ। এই সময়ে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তার মধ্যে আছে পানি, লেবুর পানি, বিভিন্ন ফলের রস, ডাবের পানি এবং স্যুপ। সঙ্গে জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল।
(ঢাকাটাইমস/৩০মে/এজে)