মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য দরকারি আর্থিক পদক্ষেপগুলো প্রস্তাবিত বাজেটে নেই: সিপিডি

২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য যে আর্থিক পদক্ষেপগুলো নেওয়া দরকার, প্রস্তাবিত বাজেটে তা নেই বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)।
বৃহস্পতিবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট-পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেটে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকার আশাবাদ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘প্রথম বিষয়টি হচ্ছে চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো ঘোষণা করা হলো সেই সূচকগুলো যেভাবে প্রাক্কলন করা হয়েছে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তা বাস্তববর্জিত এবং অর্জন করা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, মূল্যস্ফীতির চাপ বা এর লাগাম টানার জন্য যে সমাধান দেয়া হয়েছে এগুলোও সম্ভব নয়।’
‘মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে না। এটি কমানোর জন্য যে আর্থিক পদক্ষেপগুলো নেয়া দরকার, বাজেটে তা নেই।’
ফাহমিদা বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণের জন্য যে আর্থিক পদক্ষেপগুলো- যেমন: আমদানি করা নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু কিছু পণ্যের ওপর কর থাকে, সেখানে যদি কর রেয়াত দেয়া যায় তাহলে কিছুটা স্বস্তি পেতাম। কিন্তু সেখানে আমরা তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখিনি।’
সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘২০২৩-২৪ সালের বাজেট এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন অর্থনীতির মূল সূচকগুলো ভেঙে গিয়েছে। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এখন আর নেই। এখানে নানামূখী চাপ রয়েছে। বহির্খাতের চাপ রয়েছে; রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স যেভাবে আসার কথা ছিল সেভাবে আসছে না। অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালন কিংবা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।’
‘সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল মূল্যস্ফীতির চাপ, সেটিও রয়ে গেছে। পুরো অর্থবছর জুড়েই মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমূখী ছিল।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। সেটি বাড়ানো হয়েছে। এটি খুবই ভালো।
‘তবে আমরা দেখছি সরকারি ৩৮টি সেবা পেতে রিটার্ন সাবমিট করতে হবে এবং আয় যেটাই হোক, রিটার্ন সার্টিফিকেট পেতে ২ হাজার টাকা দিতে হবে। সেটি আমাদের কাছে অবিবেচনাপ্রসুত মনে হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সেবা পেতে যে ২ হাজার টাকা ন্যূনতম কর নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি তুলে দেয়া উচিত।’
(ঢাকাটাইমস/০১জুন/এমএইচ/কেএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ডিজিটাল পরিকল্পনার প্রতিযোগিতা ‘বাংলালিংক ইনোভেটর্স’-এর ৭ম আসর শুরু

ল্যাবএইড হাসপাতালে শুরু হয়েছে বিশেষ সেবা পক্ষ

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে রূপালী ব্যাংকে আলোচনা ও দোয়া

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৫টি নতুন উপশাখা উদ্বোধন

আবারো ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন ক্রিকেটার মিরাজ

সাভারে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের মেগা শো-রুম উদ্বোধন

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রথম সিবিএ নির্বাচন

স্বর্ণের দাম কমে প্রতি ভরি ৯৮ হাজার ১৭৭ টাকা

দেশে রয়েছে ব্লু ইকোনমি নির্ভর পর্যটন বিকাশে অপার সম্ভাবনা: উপাচার্য ড. মশিউর
