গাজীপুরে জেএমবির পলাতক সদস্য গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়েতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একজন পলাতক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেপ্তারকৃতের নাম হাজী মো. সোলায়মান ওরফে মুন্সী ইউনুছ আলী।
মঙ্গলবার বিকালে এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটিইউয়ের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার গোম্বাবর গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে অভিযান চালায়। অভিযানে হাজী মো. সোলায়মান ওরফে মুন্সী ইউনুছ আলী নামের জেএমবির একজন পলাতক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এটিইউ জানায়, হাজী মো. সোলায়মান দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে পলাতক ছিলেন। তিনি দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য সাংগঠনিকভাবে কাজ করে আসছিলেন। ২০১১ সালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার ছালরা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ তার সহযোগী সমর আলীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-০৯। তখন সেখান থেকে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। আর দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে পলাতক থাকেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ২০১১ সালের পর থেকে কুমিল্লা, সিলেট, নরসিংদী এবং গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে মৎস্য খামারের ব্যবসা করে আসছিলেন।
এটিইউয়ের ভাষ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃত হাজী মো. সোলায়মান ওরফে মুন্সী ইউনুছ আলী জেএমবির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। তিনি তার সহযোগীদের সাথে পরস্পর যোগসাজোসে, সহায়তায় সমর্থন দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে বাংলাদেশের অখন্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য এবং জনমনে আতংকসৃষ্টি, প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও ধর্মীয় উগ্রবাদ মতার্দশ প্রচার করে নাশকতামূলক কার্যক্রমে উস্কানি দিয়ে আসছিলেন।
হাজী মো. সোলায়মান ওরফে মুন্সী ইউনুছ আলীর বিরুদ্ধে ২০১১ সালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ১৯০৮ এর- ৪/৫/৬ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) ভুক্ত আসামি।
গ্রেপ্তারকৃত হাজী মো. সোলায়মান ওরফে মুন্সী ইউনুছ আলী জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার গোদা শিমুলিয়া গ্রামের মৃত মো. শরীফ মন্ডল ওরফে রফিকুল ইসলামের ছেলে।
ঢাকাটাইমস/০৬জুন/এএ/ইএস