‘তোমরা নতুন সৃষ্টি, দক্ষতা এবং সৃজনশীলতায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে’

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ০৮ জুন ২০২৩, ১৬:৪৯
অ- অ+

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘তোমরা নতুন সৃষ্টি, দক্ষতা এবং সৃজনশীলতায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তোমরাই গড়বে আগামীর সুন্দর পৃথিবী।’

তিনি বলেন, ‘সময় পাল্টায়। নতুন নতুন সময়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি হয়। একটি প্রজন্ম সাহিত্যে, সৃজনশীলতায়, কাব্যে, গ্রন্থে, ভাষা শৈলী প্রকাশে দারুণভাবে কাজ করেছে। সেই সময়ে আমাদের রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত, শরৎ আরও বহুজন একাকার হয়ে অপূর্বসব সৃজনশীল কাজ করেছেন। সেই সুন্দরের ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলি, তখন সেইসব জ্ঞানের ধারাবাহিকতায় আমাদের নতুন প্রজন্ম, নতুন নতুন কাজ করবে। স্মার্টনেসের ব্যাখ্যা ভিন্ন হবে। সে নতুন করে ভাববে। নতুন পৃথিবীতে তার উদ্ভাবন হবে নতুন এবং সৃজনশীল।’ বুধবার বিকালে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অডিটোরিয়ামে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।

তরুণ শিক্ষার্থীদের নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘নবীনবরণের আজকের এই দিনে তোমাদের স্বাগত জানাই। তোমরা যেন অনাগত এক চ্যালেঞ্জিং পৃথিবীতে নতুন সৃষ্টি, দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারো। আমি আশা করবো- তোমাদের প্রস্তুতি এই নবীনবরণের দিন থেকে শুরু হোক। তুমি প্রতিদিন নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা অধ্যয়ন করবে। শিক্ষকদের সঙ্গে বসবে, ই-বুকে যাবে, ই-জার্নালে যাবে। কেননা তোমার হাতের মুঠোয় যে পৃথিবী সেটিকে কাজে লাগাতে হবে। অন্যথায় প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তুমি পিছিয়ে যাবে।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়া, জ্ঞানের অন্বেষণ করার কোনো বিকল্প নেই। হতে পারে তুমি তোমার প্রত্যাশিত কাজটি পাচ্ছো না, প্রত্যাশিত চাকরি পাচ্ছো না। কিন্তু তোমার মধ্যে শিক্ষার আলো থাকলে, জ্ঞান থাকলে তুমি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার প্রবল শক্তি পাবে। এটি থাকলে যেকোনো চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হওয়া যায়। অর্জিত জ্ঞানের সঙ্গে তোমার চমৎকার, অহর্নিশ একটা সম্পর্ক থাকবে। কখনো তুমি একা হবে না। মনে রেখ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে চমৎকার। শিক্ষার্থীর মধ্যে অনবরত জানার প্রশ্ন থাকবে, অনুসন্ধান থাকবে। আমরা যারা এপাশে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেই তারা সব জানি এটি ভুল কথা। তুমি অনেক কিছুতে বেশি জানতে পারো। সেকারণেই ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে মূলত উভয় পক্ষ শেখে। সুতরাং নতুন নতুন প্রশ্ন করো। প্রশ্ন করার মধ্যে কোনো দোষ নেই। সৃজনশীলতার এই পৃথিবীতে একমাত্র শিক্ষা, উৎকর্ষতা এবং মানবিক গুণাবলীই নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে। স্বাবলম্বী হওয়ার নানা ব্যাখ্যা আছে। মূলত জ্ঞানের আলোয় যে স্বাবলম্বী হয় সেটিই শ্রেষ্ঠতর।’

লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে নবীবরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা ব্রজলাল (বিএল) কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান, লালমাটিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ নাসরিন আহমেদ।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নবীনবরণ-২০২৩ এর আহ্বায়ক মাহমুদা আনসারী। অনুষ্ঠানে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৮জুন/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মোহাম্মদপুরে ৩৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সাংবাদিক সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ 
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল সোমবার
এবার বাংলাদেশের চার টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ করল ভারত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা