শিশু সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, থানায় অভিযোগ

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকায় অস্ত্রের মুখে দুই বছরের শিশু সন্তানকে জিম্মি করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে পাগলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এর আগে গত শুক্রবার (১৬ জুন) উপজেলার পাগলা থানাধীন টাঙ্গাব ইউনিয়নের দুবাশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তিভোগী জানান, ঘটনার পর এলাকার মেম্বার-চেয়ারমানের কাছে অভিযোগ করে বিচার না পেয়ে অবশেষে থানার অভিযোগ করেন তিনি।

জানা গেছে, এজাহার ও নির্যাতিত নারীর পরিবার জানায়, স্বামী কাজের সুবাদে নারায়ণগঞ্জে থাকায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন। গত ১৬ জুন রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমের কারণে ওই গৃহবধূ বসত ঘরের দরজা খোলা রেখে শুয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রতিবেশী তানভীর (২৮), সুমন (৩০) ও জলিল (৩৫) ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে গৃহবধূর দুই বছরের শিশু সন্তান আরাফাতকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অভিযুক্ত তানভীর গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় অপর অভিযুক্ত সুমন ও জলিল তানভীরকে ধর্ষণে সহায়তা করে ও ভিডিও ধারণ করে।

গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, তানভীর, সুমন ও জলিল রাতে ঘরে প্রবেশ করেই দরজা বন্ধ করে দেয় এবং আমার দুই বছরের শিশু সন্তানকে জিম্মি করে জলিল আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই সময় আমি তার হাতে-পায়ে ধরলে সে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে তানভীর আমার শিশু সন্তানকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। এ সময় অন্য দুজন ভিডিও ধারণ করে। পরে আমার পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানালে তারা বিষয়টি সালিশে মীমাংসার উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। কিন্তু ঘটনার দুই দিনেও কোনো বিচার না পেয়ে সোমবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মেদ বলেন, সোমাবার রাতে ভোক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে কামাল হোসেন নামে একজন অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/এআর)