যমুনা গিলছে বসতভিটা, দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ

ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল), ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২৩, ১০:১৪
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় তীব্র ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি। ছবি: ঢাকা টাইমস)

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ না থাকায় ভাঙন থামছেই না। ইতোমধ্যে উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক বসতভিটা, আবাদি জমি ও রাস্তাঘাটসহ নানা স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেলা জিও ব্যাগও কাজে আসছে না। ফলে চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন যমুনা তীরবর্তী বাসিন্দারা।

জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে যমুনা নদীতে আশঙ্কাজনকহারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।

এছাড়া চরাঞ্চলে তিল ও পাটসহ নানা ধরণের ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলবাসী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া, চিতুলিয়াপাড়া, খানুরবাড়ী, কোনাবাড়ী, মাটিকাটা, সিরাজকান্দি ও সারপলশিয়া এলাকাসহ অর্ধশত গ্রামে যমুনার তীরে শতশত ড্রেজার বসানো রয়েছে। এ কারণে প্রতি বছরই ভাঙনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় বসতভিটা।

ভাঙনের শিকার চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের জিলকদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে এক দিনেই আমার বসতভিটা যমুনা নদী গিলে খেয়েছে। বাড়ির পাশে থাকা জমিও নদীগর্ভে চলে গেছে বহু আগেই। এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার থাকার জায়গাটুকুও আর নেই।

জামাল উদ্দিন নামে আরও একজন ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা নদী ভাঙন এলাকার মানুষ। চোখের সামনে বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীর পেটে চলে যেতে দেখেছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বললেও তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেন না। গত কয়েক দিন এ এলাকায় প্রায় ১৫ থেকে ২০টি ঘর বাড়ি সরানো হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথাও থাকার একটু জায়গা পাচ্ছি না।

গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার ঢাকা টাইমসকে জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে বুধবার রাতে চিতুলিয়াপাড়ায় নিমিশেই ১৫-২০টি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আরও অর্ধশত ঘরবাড়ি ও বসতভিটা ভাঙনের শিকার হতে পারে।

আরও পড়ুন: সরকারি বই বিক্রি: কারাগারে ফেরিওয়ালা, শিক্ষা অফিসের নৈশপ্রহরী পলাতক

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার গোবিন্দাসী, চিতুলিয়াপাড়া, কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ী ও পাটিতাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষসহ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :