সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ পেল ইরান
আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক সংস্থা সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা বা এসসিও’র পূর্ণ সদস্যপদ পেল ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে শুরু হওয়া ২৩তম ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে ইরানের পূর্ণ সদস্যপদ আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বেশ কয়েকটি কারণে এই বৈঠক এবার বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। ওয়াগনার বিদ্রোহের পর প্রথমবার এই ধরনের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এছাড়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ইরান, কিরগিজস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানের শীর্ষ-নেতারা এবং এছাড়া পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে ইরান, বেলারুশ, মঙ্গোলিয়ার শীর্ষ-নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বেলারুশ এতদিন পর্যবেক্ষক দেশ হিসাবে ছিল। এবার তারা এসসিও-র সদস্য হচ্ছে। ১৫ বছর আগে এসসিও’র সদস্যপদের জন্য আবেদন জানিয়েছিল ইরান। কিন্তু ২০২১ সালে এসে সংস্থাটি ইরানের আবেদন বিবেচনা করতে সম্মত হয়। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ইরানকে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত করার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইরান এসসিও’র অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক বা এমওইউতে সই করে। এর একমাস পর ইরানের পার্লামেন্ট এসসিও’তে এদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টিকে অনুমোদন দেয়।
এসসিও মূলত একটি কূটনৈতিক সংস্থা যার সদরদপ্তর চীনে অবস্থিত। বর্তমানে এটির আট পূর্ণাঙ্গ সদস্যদেশ হচ্ছে, চীন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরঘিজিস্তান ও তাজিকিস্তান। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যিক ও সামরিক সহযোগিতার পাশাপাশি যৌথ নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে পরস্পরকে সহায়তা করে।
(ঢাকাটাইমস/৪জুলাই/এসএটি)