নীরব ঘাতক হাইপারটেনশন! লক্ষণ চিনে সতর্ক না হলেই বিপদ

ফিচার ও স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ মে ২০২৪, ১৯:২৭

গত ১৭ মে চলে গেল ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন ডে। এই দিনটি গোটা পৃথিবীতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সতর্কতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পালন করা হয়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, হাইপারটেনশন বা হাইপ্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো এক নীরব ঘাতক। এই অসুখ চুপি চুপি শরীরে বাসা বাঁধে। তাই এর লক্ষণ প্রথমেই চিনে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। নইলে বিপদের শেষ থাকবে না।

শেষ কয়েক দশকে হাইপারটেনশনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গুণিতক হারে বেড়েছে। বিশেষত, আমাদের দেশে তো এই রোগে আক্রান্ত রোগী প্রায় প্রতি বাড়িতেই এক-দুজন আছে। এরপরও সচেতনতা নেই। একটা বড় সংখ্যার মানুষ জানেনই না যে, তাদের হাইপারটেনশন রয়েছে। এই কারণে বড়সড় বিপদ ঘটে যাওয়ার ভয় থাকে।

মাথায় রাখতে হবে, হাইপারটনেশনের মতো অসুখকে প্রথমেই বাগে আনা দরকার। নইলে হার্ট, কিডনি ও চোখের মতো অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি হতে পারে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো প্রাণঘাতী রোগ।

তাই চিকিৎসকরা বারবার এই অসুখের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র লক্ষণের দিকে নজর দিতে বলেন। এই সমস্ত উপসর্গগুলো চিনে প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে গেলে রোগ সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

লক্ষণগুলো মধ্যে রয়েছে- মাথা ব্যথা, বুকে ব্যথা, চোখে আবছা দেখা, শ্বাসকষ্ট, বমি, উৎকণ্ঠা, বিভ্রান্তি, নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া, অনিয়মিত হৃদগতি, কানে অস্বস্তিকর শব্দ শোনা ইত্যাদি।

তবে মুশকিল হলো, এই অসুখে আক্রান্তের শরীরে অনেক সময় কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। এটাই হলো মূল সমস্যার কারণ। এক্ষেত্রে উপসর্গ না থাকার কারণে রোগ বহুদিন পর্যন্ত অন্তরালেই রয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, কিছু ক্ষেত্রে রুটিন চেকআপের সময়ই এই অসুখ ধরা পড়ে। রোগী হয়তো অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে এসেছেন, ঠিক তখনই মেপে দেখা গেল প্রেশার অনেকটা বেশি রয়েছে। তারপর শুরু হলো চিকিৎসা।

কাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি?​

হাইপারটেনশনে যে কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারেন। তবে সবার তুলনায় কিছু মানুষের এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, যেমন- লবণ বেশি খাওয়া, হাই ফ্যাট ডায়েট খাওয়া, ডায়েটে শাক-সবজি কম থাকা, অলস জীবনযাপন, মদ ও ধূমপান এবং যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।

তাই এই ধরনের জীবনযাত্রায় যারা অভ্যস্ত, তারা অবশ্যই হাইপারটেনশন নিয়ে অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন। প্রতি ৬ মাস অন্তর প্রেশার মাপুন।

উন্নত চিকিৎসা রয়েছে​

এই অসুখে আক্রান্ত হলে সাধারণত সারাজীবন ওষুধ খেতে হয়। তবে এই রোগের অত্যাধুনিক কিছু ওষুধ রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত সেই সমস্ত ওষুধ খেলে অনায়াসে রোগ থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

কিছু রোগী ব্লাড প্রেশারের ওষুধ মাঝপথে খাওয়া ছেড়ে দেন। তারা বুঝতে চান না এই অসুখের ওষুধ সারাজীবন খেতে হয়। তাই রোগীর পরিবারের সদস্যদের এক্ষেত্রে এগিয়ে এসে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। রোগী ঠিকমতো ওষুধ খাচ্ছেন কি না, তা দেখার দায়িত্ব নিতে হবে।

জীবনযাত্রা ও ডায়েটে বদল আনুন​

শুধু ওষুধ খেলে চলবে না, পাশাপাশি আপনাকে জীবনযাত্রা ও ডায়েটে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন- কাঁচা লবণ, বিট লবণ না খাওয়া, শাক-সবজি ও ফল বেশি পরিমাণে খাওয়া, রাতে সাত ঘণ্টা শান্তির ঘুম দিতে হবে। দুশ্চিন্তা কমাতে মেডিটেশন করুন এবং দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম মাস্ট।

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :