মাদরাসা ছাত্রী মাইশার মৃত্যুতে মামলা, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরায় পরিবারের ক্ষোভ
নগরীর রুপাতলী বসুন্ধরা হাউজিংয়ে বাড়িওয়ালার অবহেলায় ছাদ থেকে পড়ে মাদ্রাসা ছাত্রী মাইশা নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। এতে ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার। তাদের দাবি, সকল আসামিকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আসতে হবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের রুপাতলী বসুন্ধরা হাউজিংয়ের আরিয়ান কটেজের নিচ তালায় ভাড়া থাকেন মামুন আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী ও তিন সন্তান ।
তখন তাহারাত আক্তার দৌড়ে তার নিজ বাসার রুমে গিয়ে দরজা আটকে দেয়। ছাদে থাকা তার শাশুড়ি দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে বলতে থাকেন মাইশা ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে।
তার চিৎকারের শব্দ শুনে মাইশার বাবা মামুন গিয়ে দেখতে পায় মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত পড়ছে।
তখন মাইশাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান, মাইশার দুটি পা সম্পুর্ণ ভেঙে গেছে ও লিভার ফেঁটে গেছে, তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন।উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের সিসিইউতে ভর্তি করা হলেও রবিবার বিকাল ৩টায় মৃত্যু হয় মাইশার।
তার এই মৃত্যুর জন্য বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও বোন ও তার মাকে দায়ী করছেন মাইশার পরিবার। এ ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত মাইশার বাবা মামুন আব্দুল্লাহ।
মামলার আসামিরা হলেন, আরিয়ান কটেজের আবুল কালামের স্ত্রী তাহারত আক্তার (২৯), গোলাম মস্তফার স্ত্রী শাহানাজ পারভিন(৩৫) ও মৃত সেকান্দরের স্ত্রী সেতারা বেগম।
মাইশার বাবা মামুন আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা যে বাসায় ভাড়া থাকি সেই বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও বোন আমার মেয়েকে ছাদের কার্নিশে জুতা তোলার জন্য বাসা থেকে ডেকে নেয় আমাদের অজান্তে। তাদের এই হেঁয়ালিপনার জন্য আমার মেয়ের মৃত্যু হয়।
আমি মনে করি পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে তারা হত্যা করেছে। এ ঘটনার জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মাইশা নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা। আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান চলমান আছে।
(ঢাকাটাইমস/৮আগস্ট/এআর)