জামালপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

জামালপুরে স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ইয়াসমিন আক্তার নামে এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করে প্রেমানন্দ ক্ষত্রিয় ওরফে শুভন নামে এক ব্যক্তি। বিয়ের পর থেকেই শুভন স্ত্রী ইয়াসমিনকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এর জেরে ২০২০ সালের ১ জুলাই রাতে স্ত্রী ইয়াসমিনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে সিলিন্ডার গ্যাসের জলন্ত চুলার ওপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় শুভন। এতে সারা শরীরে আগুন লেগে দগ্ধ হলে ইয়াসমিনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জুলাই মারা যায় ইয়াসমিন। এই ঘটনায় ইয়াসমিনের বড় বোন হাজেরা বেগমের দায়ের করা মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামি প্রেমানন্দ ওরফে শুভনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
নিহত ইয়াসমিন আক্তারের বাড়ি নেত্রকোনায় এবং শুভনের বাড়ি ময়মনসিংহে। চাকরি সূত্রে তারা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভাড়া বাসায় বসবাস করত। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আকরাম হোসেন ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. দিদারুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আকরাম হোসেন বলেন, ২০২০ সালের ১ জুলাই রাতে স্ত্রী ইয়াসমিনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে সিলিন্ডার গ্যাসের জলন্ত চুলার ওপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় শুভন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জুলাই ঢাকায় মারা যায় ইয়াসমিন। আজ সেই মামালা রায়ে আসামি প্রেমানন্দ ওরফে শুভনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি বলে জানান তিনি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. দিদারুল ইসলাম জানান, এই মামলায় প্রকৃতপক্ষে কোনো প্রকার আই উইটনেস নেই। আমরা এই মামলায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা উচ্চ আদালতে আশ্রয় নেবো।
উল্লেখ, নিহত ইয়াসমিন আক্তারের বাড়ি নেত্রকোনায় এবং শুভনের বাড়ি ময়মনসিংহে। চাকরি সূত্র ধরে তারা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এআর)

মন্তব্য করুন