তাড়াশে বাড়ির আঙিনায় কৃষকদের বিষমুক্ত সবজি চাষ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বসতবাড়ির আঙিনায় ও পতিত জমিতে সবজি চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তায় বাড়ির আঙিনায় ও পতিত জমিতে মাটি ভরাট করে সবজি চাষ করছেন তারা। এতে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা।
জানা যায়, তাড়াশ উপজেলায় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পতিত জমি ও বাড়ির আঙিনায় ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রায় ২৪০টি প্রদর্শনী স্থাপন করেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্প। এইসব বাগানে চাষিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সকল সদস্য মিলে বাগানের পরিচর্যা করেন। উদ্যোগী পুষ্টি বাগানীরা প্রায় ২০ প্রকারের সবজি চাষ করছেন। নিজেদের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারেন।
সরেজমিনে গিয়ে তাড়াশ পৌর সদরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়, কৃষক হায়দার আলী তার বাড়ির আঙিনায় ও আশেপাশের পতিত জমিতে বিষমুক্ত সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন। টমেটো, পেঁপে, লালশাক, পুইশাক, বেগুন, পালংশাক, বরবটি, ঢেঁড়শসহ আরো অনেক সবজির চাষ করছেন তিনি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এর আগে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ২০০ জনের বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করে দেওয়া হয়েছে। এ বছর ইতোমধ্যে আমরা ৪০টি পরিবারে প্রদর্শনী প্রকল্প স্থাপন করেছি। বাড়ির আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলছি।
বসত বাড়ির উঠানে সবজি চাষি খন্দকার মুকুল হোসেন বলেন, তাড়াশ কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বাড়ির উঠানে প্রায় ২০ প্রকারের শাক-সবজি করছি। এতে নিজেরা খাওয়ার পরেও বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারছি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যেমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ২৪০ জনের বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করে দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা বিনামূল্যে বাঁশ, খুঁটি, বীজ, সার দিচ্ছি। পাশাপাশি কৃষি অফিসাররা নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করেন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
(ঢাকাটাইমস/২৩ আগস্ট/ইএইচ)

মন্তব্য করুন