কেন্দুয়ায় সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের রামপুর বাজার-ময়মনসিংহ সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে কেন্দুয়া, মদন ও গৌরীপুর উপজেলার একাংশের মানুষ চলাচল করে। এই সড়কের বৌখেরহাটি বাজারের পশ্চিম অংশ থেকে শাহগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন আগে নির্মিত হলেও প্রশস্তকরণ ও সংস্কারের অভাবে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আর দেড় কিলোমিটার রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। নিত্যদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। রাস্তার বেহাল দশার কারণে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। সড়কে যানবাহন বাড়লেও সেই তুলনায় সড়কটি খুবই সরু হয়ে গেছে। এর ফলে ১৫ মিনিটের রাস্তা যেতে ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকশাসহ শতশত মানুষকে।
বৈখেরহাটি বাজারটি এলাকার সবচেয়ে বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ বাজার। এই অঞ্চলটি মূলত কৃষি প্রধান হওয়ায় পণ্যসামগ্রী বাজারে নিয়ে যেতেও বিপাকে পড়ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এমনকি কেউ অসুস্থ হলেও রোগীকে এই রাস্তা দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দের।
নজরুল ইসলাম নামে এক সিএনজি চালক বলেন, রাস্তাটি যেখানে সেখানে ভেঙে যাওয়ার ফলে গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে আরো চরম আকার ধারণ করে। অন্য রাস্তা দিয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরিয়ে আবার এই রাস্তায় আসতে হয় আমাদের।
বৈখেরহাটি বাজারের ফরিদ আহমেদ জানান, রাস্তাটি সরু, যেখানে সেখানে ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা। আগে আমাদের এলাকায় জনসংখ্যা কম ছিল। আগের তুলনায় এখন জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। তাই রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। সড়কটির দশা এখন বেহাল ও খুব ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কটির বেহাল দশার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা। সড়কটির দশা খারাপ হওয়ায় এলাকার মানুষ ঠিকভাবে কৃষি পণ্য বাজারে সরবরাহ করতে পারছে না। এখন কৃষি পণ্য আনা নেওয়া করতে হলে অন্য রাস্তা দিয়ে গাড়ি আনতে হয় ও অন্য রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। এতে রাইস মিল থেকে শুরু করে সাধারণ ব্যবসায়ী ও কৃষকের খচর অনেক বেশি পরে যায়। রাস্তার কারণে এলাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ পাইকাররাও আসতে চায় না কোন কিছু কিনতে। তাই আমাদেরকে এখন দ্বিগুণ ভাড়ায় অন্য রাস্তা দিয়ে ধান, চাল, গম, আলুসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য আনা নেওয়া করতে হয়। খুব দ্রুত এই রাস্তাটি প্রশস্ত ও মেরামত করার জন্য তিনি সরকারকে অনুরোধ করেন।
দলপা ইউপির চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া জানান, কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলীকে রাস্তার বিষয়ে অবগত করা হলেও আজ পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই জরুরি।
তবে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, ওই রাস্তায় জনদুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরে সেটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হয়ে আসলে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/০১সেপ্টেম্বর/এসএ)

মন্তব্য করুন