তেঁতুলিয়ায় আ.লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী মুক্তার ১০ দিনব্যাপী গণসংযোগ শুরু

আগামী সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাঈমুজ্জামান মুক্তা ১০ দিনব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছেন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর তেঁতুলিয়া উপজেলায় বড় আকারের নির্বাচনী জনসভাকে সামনে রেখে তার এই গণসংযোগ।
শুক্রবার দিনভর তিনি তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের কালান্দি বাজার, দলুয়া, পুণ্যেরবাড়ি, চৌরাস্তা, মহুরিহাট, বসন্তজোত, লোহাকাচি, ধারাগজ, শালবাহান রোড, বোয়ালমারি, খোটাগজ, ডাহুক গুচ্ছগ্রামে গণসংযোগ করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন তিনি বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠক করে সাধারণ মানুষকে জনসভায় আসার কথা বলছেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক প্রার্থীও মাঠে সভা সমাবেশ উঠান-বৈঠক অব্যাহত রেখেছেন। তবে ভিন্নধর্মী কর্মসূচি পালনে সাধারণ মানুষের আলোচনায় এসেছেন তিনি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিপুল সংখ্যক মানুষের জনসমাগমে বিধি নিষেধের আশঙ্কা। এজন্য ভোটের আগেভাগেই তিনি দেশের এক নম্বর নির্বাচনী এলাকা পঞ্চগড়-১ আসনের তিন উপজেলায় বড় আকারের নির্বাচনী জনসভা করতে চান। এর অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে আটোয়ারী উপজেলার জনসভায় ১০ হাজারের বেশি নারী-পুরুষের জনসমাগম হয়। সর্বশেষ তিনি সদর উপজেলার জেলা সদরে একই জনসভার কথা জানান নাঈমুজ্জামান মুক্তা।
নাঈমুজ্জামান মুক্তার মাসব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ে হাতে হাতমিলাও কর্মসূচি পালন করেছেন। খেটে খাওয়া মানুষের বাসায় একাধিকবার রাতযাপন করেছেন, ঘোষিত কর্মসূচির তালিকা অনুযায়ী তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের কষ্টের কথা শুনছেন। তাদের বিপদে পাশে থেকে নানা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছেন। স্থানীয় আলেম ওলামা ছাড়াও সাঁওতাল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, সনাতন ধর্মের মানুষের বাড়িতে গিয়ে একসাথে বসে খেয়েছেন, রাতযাপন করেছেন। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাইসাইকেল চালানো কর্মসূচি পালন করেছেন, তাদের সঙ্গে বসে কথা বলেছেন, তাদের লেখাপড়ার খরচসহ নানা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে স্থানীয় একাধিক অসহায় মানুষকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তি পর্যায়ে সহায়তার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, রাস্তাঘাটসহ উন্নয়ন কার্যক্রমও করেছেন। একের পর এক ব্যতিক্রম কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করেছেন।
নাঈমুজ্জামান মুক্তা বলেন, ‘আমি নৌকা মার্কার লোক, নৌকা যার আমরা তার’ এই স্লোগানে পঞ্চগড়-১ আসনের (আটোয়ারী, তেঁতুলিয়া ও সদর উপজেলা) বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করে চলেছি। গত সংসদ নির্বাচনেও আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাজহারুল হক প্রধানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আমি দলীয় স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে তার পক্ষেই কাজ করেছি। এবারও আমি নৌকা প্রতীকের জন্য ভোট চাচ্ছি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীদার হতেই আমিও পঞ্চগড়-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী।।
(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এআর)

মন্তব্য করুন