মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন না, যুক্তরাষ্ট্রকে তথ্যমন্ত্রী

‘মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার না করাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৯৭৭ সালে ২ অক্টোবর সেনা ও বিমান বাহিনীর কারাদণ্ড, চাকরিচ্যুতি ও ফাঁসি দেওয়া সদস্যদের পরিবারবর্গের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে বলে মানবাধিকারের কথা। পরে বলে বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা। আমরাও বলি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকার সহযোগিতা করবে। তাই মানবাধিকারকে কেউ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণকে গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে আসবেন না। আমাদের দেশের জনগণের এখনো পরাজয় মেনে নেওয়ার মানসিকতা আছে। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পরাজয় মেনে নিতে পারেননি। তাই আমাদের গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে আসবেন না।’
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মায়ের কান্না সংগঠনের সদস্যদের যে আকুতি, যে দাবি সেটি নিয়ে তো আপনারা কোনো কথা বলেন না। মার্কিন এম্বাসিতে মায়ের কান্না সংগঠনের নেতারা দেখা করার জন্য দরখাস্ত দিয়েছেন। কিন্তু আপনারা তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। মায়ের কান্নার কান্না আপনাদের কর্ণকুহরে পৌঁছায় না। তাহলে কীসের মানবাধিকারের কথা বলেন আপনারা।’
‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিশু হত্যা হয়, মানুষকে টেনেহেঁচড়ে মারা হয়, গুলি করে মারা হয়, তা নিয়ে তারা কথা বলেন না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কেউ কিল-ঘুষি মারলেও বিবৃতি দেন। কিন্তু যখন বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা ১৩, ১৪ ও ১৫ সালে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে তখন তো তারা কোনো বিবৃতি দেয়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা যতবার বলেছেন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ, তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। ততবারই খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে বাসায় গেছেন। তবে সরকার খালেদা জিয়ার দেশে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক। দেশে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যাপারে যা যা করা দরকার সরকার তাই করবে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে সরকারের এখতিয়ার নেই। এই এখতিয়ার আদালতের। তার বিদেশের চিকিৎসা বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেক্ষেত্রে বিএনপিকে আদালতে যেতে হবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি আবারও সন্ত্রাস করার পরিকল্পনা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দিতে চাই, বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে। রাজপথে থাকবে। ১৩ ও ১৪ সালের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে আর দেওয়া হবে না।’
১৯৭৭ সালে ২ অক্টোবর সেনা ও বিমানবাহিনী সদস্যদের হত্যা প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে নাস্তার টেবিলে, বিদেশে যাওয়ার সময় সিঁড়িতে বসে ফাঁসির আদেশে সই করতেন। তার দল মানুষ পুড়িয়ে মারবে এটাই তো স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে জিয়াউর রহমানের পরিকল্পনায়। তার পুত্র তারেক রহমানের পরিকল্পনায় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে। এটাই তো স্বাভাবিক।’
সংগঠনের সভাপতি কামরুজ্জামান লেলিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য তারানা হালিমসহ সংগঠনের নেতারা।
(ঢাকাটাইমস/২অক্টোবর/জেএ/এফএ)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজনীতি এর সর্বশেষ

ফেরদৌসের মনোনয়ন বৈধ, বললেন ‘ভোট উৎসব দেখতে চাই’

আমানউল্লাহ আমানের জামিন নামঞ্জুর

ঢাকা ১০: বাছাইয়ে টিকলেন ফেরদৌসসহ তিন প্রার্থী, বাতিল ৮

অবরোধের সমর্থনে রাজধানীতে এলডিপির মিছিল

নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ দেশে গণহত্যা চালাতে পারে : ১২ দলীয় জোট

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের মিছিল

আট মামলায় নিপুণ রায়কে আগাম জামিন দিলেন হাইকোর্ট

১৪ দলের যারা বিজয়ী হতে পারবে আ.লীগ তাদের ছাড় দেবে: ওবায়দুল কাদের

মায়ার ছেলে দীপুর জানাজা অনুষ্ঠিত, নেতাদের শ্রদ্ধা
