দোহাজারী-কক্সবাজার পরীক্ষামূলক ট্রেন যাবে ১৫ অক্টোবর

এম হাশেম তালুকদার, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:০৩
অ- অ+

আগামী ১৫ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে ট্রেন যাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। এ লক্ষ্যে চলছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের শেষ পর্যায়ের কাজ। ইতোমধ্যে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ট্রেনের ছয়টি বগি এবং একটি ইঞ্জিন। যেগুলো গত একমাস ধরে অবস্থান করছে পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচলের জন্য কালুরঘাট ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করা হচ্ছে বলে ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা।

তিনি বলেন, ব্রিজটি মজবুত করা হচ্ছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সংস্কার শুরু হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সংস্কার কাজের জন্য সব ধরনের যানবাহন ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। সংস্কার শেষ হলে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শক দলের সুপারিশ অনুযায়ী সেতুটি সংস্কার করা হচ্ছে। ৬৩৮ মিটার দীর্ঘ সেতুটি ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। বর্তমানে সেতুর ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে ১০ টন ভারী ইঞ্জিন চলাচল করে। সেতু পার হওয়ার সময় গতি থাকে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার। তবে কক্সবাজারগামী ট্রেনটির ইঞ্জিনের ওজন হবে ১২-১৫ টন। ট্রেনের গতি হবে সর্বোচ্চ ৮০-১০০ কিলোমিটার।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজারে ৯২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে ছোট-বড় প্রায় সবকটি ব্রিজ-কালভার্ট। প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৮৮ শতাংশ। চলতি মাসের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করার টার্গেট আছে। আগামী অক্টোবরেই প্রকল্পের উদ্বোধনের প্রস্তুতি রয়েছে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।

প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের প্রায় সাতবছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।

রেলের একজন কর্মকর্তা জানান, ডিসেম্বরের আগে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু কঠিন। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেন চলে। সেগুলো কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত করা সম্ভব। তবে এরজন্য জনবল, ইঞ্জিন-বগি প্রয়োজন। এসব এ মুহূর্তে নেই। তাই সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার রেলপথের সুফল পেতে আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৩ অক্টোবর/ইএইচ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সাতক্ষীরার জনগণের সাথে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যৎ থাকবো
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে টানা অবস্থান ও বিক্ষোভ এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের
মোহাম্মদপুরে ৩৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সাংবাদিক সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা