মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৩
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবিতে এক শিশুসহ আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
উদ্ধারকৃত মরদেহ দুটি হলো— সাব্বির হোসেন (৪০) ও জান্নাতুল মারওয়ার (৮)।
এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাব্বির হোসেন তার ভায়রা ভাই এবং মারওয়া তার বড়ভাই বোরহান উদ্দিনের মেয়ে।
এর আগে শনিবার সকাল ৬টার দিকে মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সুমনা আক্তারের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এ নিয়ে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন।
কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি (বন্ধরন অঞ্চল) উপপরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, রবিবার ভোরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দশআনি লঞ্চঘাট এলাকা থেকে জান্নাতুল মারওয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং সকাল ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ চরঝাপটা এলাকার থেকে সাব্বির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে স্বজনদের হারিয়ে পাগলপ্রায় স্বজনরা বলছেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে আমাদের দিন। তাদের কবরটা যেন আমরা দিতে পারি। লাশের সন্ধানে মেঘনা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। আর ঘাতক বাল্কহেড চিহ্নিত করে তার মালিক ও চালককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
মুফিজুল শুক্রবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি ও পরিবারের লোকজন নিয়ে গজারিয়া থেকে ঘুরতে বের হয় চরকিশোরগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায়। সন্ধ্যা হলে পরিবারের লোকজন নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড ট্রলারে ওপর উঠিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ট্রলার ডুবে গেলে সবাই তলিয়ে যায়। এর মধ্যে ট্রলারচালকসহ ছয়জন সাঁতরে আশপাশের ট্রলারে ওঠে। আর বাকি অন্তত ৬ জন নিখোঁজ হন।
(ঢাকাটাইমস/০৮অক্টোবর/এআর)