গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে লন্ডনে লাখো মানুষের বিক্ষোভ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে ৩ লাখ মানুষ অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
রবিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে মিছিল করেছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারী। এ সময় ফিলিস্তিনি পতাকা বহনকারী বিক্ষোভকারীদের সংঘাতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশ নিতে দেখা গেছে।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভে প্রায় ১৫০০ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছিল এবং আইন ভঙ্গ করতে পারে এমন শব্দ বা চিত্র সম্পর্কে সতর্ক করে বিক্ষোভকারীদের লিফলেট দেওয়া হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ৪৮ দিন টানা যুদ্ধের পর চার দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে ৩৯ জন কারাবন্দি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে তেল আবিব। এর বিনিময়ে ১৩ ইসরায়েলি ও ৪ থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
দ্বিতীয় দফায় এই মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে না দিলে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে নতুন শর্ত বেঁধে দেয় হামাস। তবে শেষ পর্যন্ত মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতার সমস্যার সমাধান হলে নির্ধারিত সময়ের ৭ ঘণ্টা পর জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এর আগে শুক্রবার যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ১৩ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেয় হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ৩৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে মোট ৫০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেবে হামাস। অন্যদিকে ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর থেকেই গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত দেড়মাস ধরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১৫ হাজার পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিশু ও নারী রয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/এমআর/এআর)