মির্জা আব্বাসের দুদকের মামলার রায় পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫০| আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:০৮
অ- অ+

১৬ বছর আগে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়েছে। পরবর্তী তারিখ আগামী ১২ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২২ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী এ মামলায় সম্পদের মিথ্যা তথ্য বিবরণের দায়ে ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ দশ বছর কারাদণ্ড ও অর্জিত সেই অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের বিধান রয়েছে।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওইদিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। পরে ২ নভেম্বর অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মির্জা আব্বাসকে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম আখন্দ এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি মির্জা আব্বাসের উপস্থিতিতে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ও তার গ্রেপ্তার দেখাতে করা আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন মির্জা আব্বাসকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকে কারাগারে আটক আছেন তিনি।

জানা যায়, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত বিভিন্ন সময়ে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৪৯ জনের নামোল্লেখসহ ৭০০-৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় গত ১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মির্জা আব্বাসের। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শাহজালাল বিমানবন্দরে ৮৯৬ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারসহ দুজন আটক
স্কুলছাত্রকে পিস্তল ঠেকিয়ে তুলে নেওয়ার ২ ঘণ্টা পর ফেরত দিলো অস্ত্রধারীরা
জুলাইযোদ্ধাদের জন্য ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন বাংলাদেশ ব্যাংকের
ষড়যন্ত্রকারী যত চেষ্টাই করুক সফল হবে না: আমিনুল হক 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা