চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জনপ্রিয় প্রার্থী রাজ্জাক খান রাজ
হাজার হাজার মানুষের সমর্থন আর ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান রাজ। জনপ্রিয়তার দিক থেকে অন্য প্রার্থীর চাইতে এগিয়ে আছেন তিনি। অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয়রা গ্রহণ করে নিয়েছেন তাকে। আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে স্থানীয়দের পাশে থাকার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সাধারণ ভোটাররা।
রাজ্জাক খান রাজ বাংলাদেশের একজন সফল ব্যবসায়ী। এছাড়া তিনি মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মানুষের কাছে তিনি একজন নিঃস্বার্থবান এবং ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত। তাকে নিয়ে এলাকার মানুষ স্বপ্ন দেখেন। বেশীরভাগ মানুষ মনে করেন, রাজ্জাক খান রাজ এমপি নির্বাচিত হলে সরকারি সকল বরাদ্দ সাধারণ মানুষের মাঝে সুষম বন্টন হবে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাবে এই এলাকা।
স্থানীয়দের মতে, রাজ্জাক খান এমপি নির্বাচিত হলে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন বেকারত্ব, দারিদ্র্য ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। উন্নয়নের জোয়ারে ভাসবে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী চুয়াডাঙ্গা জেলা।
রাজ্জাক খান রাজ যে প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করুন না কেন, বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে মনে করছেন দলমত নির্বিশেষে এলাকার সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, রাজ্জাক খান একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তিনি জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করেন। তার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।
আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের ইমদাদুল হক বলেন, রাজ্জাক খান রাজ একজন ভালো মনের মানুষ, তিনি করোনা ভাইরাসের সময় মানুষের পাশে থেকে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। তিনি এমপি না হয়েও এলাকার বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসাসহ বিভিন্ন জায়গায় মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
জেহালা ইউনিয়নের গচড়াপাড়া গ্রামের পারভেজ বলেন, আমার প্রথম ভোট স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজ্জাক খান রাজকেই দেব। তার মতে রাজ্জাক খান যোগ্য প্রার্থী। রাজ্জাক খান এমপি হলে চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপক উন্নয়নসহ বেকারত্ব দূর হবে বলে মনে করছেন তিনি।
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে রাজ্জাক খান রাজ বলেন, আমি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছি। আমি মুজিব আদর্শের সৈনিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সফল করতে চাই। পাশাপাশি আমার এলাকার মানুষের আশা ও আকাঙ্খা পূরণ করতে চাই। সাধারণ মানুষের দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জানিয়ে রাজ্জাক খান বলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মানুষ পরিবর্তন চায়। তারা এলাকার উন্নয়ন চায়। এজন্য তারা আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। আমি দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের ভোটে নির্বাচিত হবো বলে বিশ্বাস করি। তবে আমি নৌকার বিপক্ষে নই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া যাবে মর্মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে তাই আমি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে প্রার্থী হয়েছি।
রাজ্জাক খান রাজ গনমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। গুজব ছড়িয়ে আমার জনপ্রিয়তা হ্রাস করার চেষ্টা করছে। তবে অপপ্রচার করে এবং গুজব ছড়িয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১৩ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/পিএস)