দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিনে নরমাল ডেলিভারিতে ৮ শিশুর জন্ম

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের (নরমাল ডেলিভারির) সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

গত শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ৮ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৪টি মেয়ে ও ৪টি ছেলে সন্তান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ নার্সদের আন্তরিকতা ও দক্ষতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭১২ নরমাল ডেলিভারি করানো হয়েছে। নভেম্বর মাসে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ১০২টি। সিজারিয়ান হয়েছে ৬২টি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারি হওয়া মোমারিজপুর গ্রামের নুর বানু, বরইয়া গ্রামের ফাহমিদা সুলতানা, মহেশপুর গ্রামের দিনারানী দাস ও মাতুভূঞা এলাকার ফারজানা আক্তারের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা টাইমসের। তারা জানান, তাদের নরমাল ডেলিভারির শুরুতে ভয় লাগলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাঠকর্মী ও চিকিৎসকদের সাহসে হাসপাতালে এসে নিরাপদ স্বাভাবিক সন্তান প্রসব হয়েছে। এতে তাদের একদিকে যেমন টাকা সাশ্রয় হয়েছে, অন্যদিকে প্রসবকারী মা সুস্থ আছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম জানান, মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে এবং নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ করতে এই হাসপাতালে দক্ষ মিডওয়াইফরা আছেন। যার ফলে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে এবং দিন দিন নরমাল ডেলিভারিতে প্রসূতিদের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ হাসপাতালে নিরাপদ এ ডেলিভারি করানো হলে মত্যুর ঝুঁকি থাকে না, পাশাপাশি কোনো প্রকার অর্থও ব্যয় হয় না। গর্ভবতী মায়েদের প্রসব পূর্ববর্তী ও পরবর্তী চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। যার ফলে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে একটি সনদ দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে সহজেই জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিনে এতজন স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের ঘটনা এটাই প্রথম। সকলের সহযোগিতা পেলে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বাড়বে।

(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/এআর)