বরগুনা-২: স্বস্তিতে নৌকার সুলতানা নাদিরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ (বামনা, পাথরঘাটা ও বেতাগী) আসনে নৌকা প্রার্থী সুলতানা নাদিরা ফুরফুরা মেজাজে আছেন। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র বা অন্য দলের শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় স্বস্তিতে রয়েছেন তিনি।
এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট কোনো প্রার্থী না থাকায় শুধু আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুলতানা নাদিরার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ, পথসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মিটিং চোখে পড়ার মতো। তিনি ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর প্রচারমূলক কার্যক্রম তেমন নেই। সুলতানা নাদিরা প্রয়াত সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলুর সহধর্মীনী। এছাড়া তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনেরও এমপি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম (নোঙর প্রতীক) প্রার্থী প্রফেসর ড. আবদুর রহমান খোকন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ী প্রতীক) প্রার্থী জাকির হোসেন রাজু, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ প্রতীক) কামরুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব প্রতীক) মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা প্রতীকে) মো. আবুবক্কর সিদ্দিক ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা প্রতীক) প্রার্থী শাহ মো. আবুল কালাম।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নির্বচানি প্রচারে এগিয়ে নৌকার প্রার্থী। এই আসনে অন্যান্য প্রার্থী থাকলেও তাদের মাঠপর্যায়ে নেই তেমন কোনো নির্বাচনি কার্যক্রম।
এসব বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুলতানা নাদিরার বড় মেয়ে ও তার নির্বাচনি প্রধান সমন্বয়ক ফারজানা সবুর রুমকি ঢাকা টাইমসকে বলেন, এখানে অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও নির্বাচন করছেন। আমরা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীকেই ছোট করে দেখছি না। বিএনএফ ও তৃণমূল প্রার্থীরা প্রচারকাজ করছেন। এখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কিছু দেখছি না।
কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে ফারজানা সবুর রুমকি বলেন, আমরা মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মানুষ নিজ থেকেই ভোট কেন্দ্রে যাবেন।
বরগুনা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন সুভাষ চন্দ্র হালদার। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়ে আসতে হবে। আমাদের ধ্যান জ্ঞান আওয়ামী লীগ, নৌকা। তাই আমাদের কাজ হলো নৌকার পক্ষে কাজ করা।
সুভাষ চন্দ্র বলেন, সে রকম কোনো প্রার্থী না থাকলে তো একটু প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম হতেই পারে, এটা স্বাভাবিক। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, নৌকার মিটিং-মিছিলে যেমন জনসমর্থন দেখা যায় তাতে ভোটার উপস্থিতি ব্যাপক হবে বলেই আমার ধারনা। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের উন্নয়নের জন্য মানুষ ভোট দিতে আসবে।
(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/টিআই/কেএম)