‘দেশ ও মানুষের স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই’

নির্বাচনের ভিত্তি মানেই জনগণ, তাদের চাওয়া-পাওয়া এবং অধিকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের কাঠামো হতে হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও সকল রাজনৈতিক দলের সমান অধিকারের ক্ষেত্র। প্রকৃত অর্থে উন্নয়ন বলতে বোঝায় গণতন্ত্র, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিমত্তা ও স্বাধীনতা, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার এবং মত প্রকাশের অধিকার। বাংলাদেশে এসকল বিষয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
২০২৪ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামীর বাংলাদেশ এই শিরোনামে বুধবার সন্ধ্যায় দৃকপাঠ ভবনে আলোচনায় অংশ নিয়ে নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এসব কথা বলেন।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এবং ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম ওয়ারেসুল করিম।
তিনি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, যদি ২০১৮ সালের নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু না হয় তাহলে দেশে একক দলের কতৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হবে। সংবাদমাধ্যমসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মত প্রকাশের অধিকার আরও সংকুচিত হয়ে আসবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই অধ্যাপক।
সুশাসনের জন্য নাগরিক -সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা কি জানি না এই নির্বাচনে বিজয়ী কে? ২০১৮ সালের এদেশে রাতের ভোটের নির্বাচন দেখা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার সংকট তৈরি রয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে পুরোপুরি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু একটি অন্যায্য নির্বাচন ঠেকানোর সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।
ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, এবারের নির্বাচনের সঙ্গে কতৃত্ববাদী চীনের নির্বাচনি কাঠামোর মিল রয়েছে।
এই আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর প্রধান নির্বাহি শারমিন মুরশিদ, নৃবিজ্ঞানী ও লেখক রেহনুমা আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী এবং মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।
(ঢাকাটাইমস/০৩ডিসেম্বর/এসআরপি/এসআইএস)

মন্তব্য করুন