বেনাপোল এক্সপ্রেসে থাকা রাজবাড়ীর তিনজন নিখোঁজ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১০| আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৩
অ- অ+

রাজধানীর গোপীবাগে শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগু‌নের ঘটনায় এখনো নি‌খোঁজ র‌য়ে‌ছেন রাজবাড়ীর তিনজন। তা‌দের বাড়িতেই চল‌ছে শোকের মাতম।

নিখোঁজরা হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার সাজ্জাদ হোসেনে স্ত্রীর এলিনা ইয়াস‌মিন (৪০), সদর উপজেলার বেলগাছি আলিমুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক প্রয়াত চিত্ত রঞ্জনের মেয়ে চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৮) কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গাংবথন্দিয়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে আবু তালহা। তালহা সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি পরিবার নিয়ে ফরিদপুর শহরে থাকেন।

জানা গে‌ছে, গতকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী রেলও‌য়ে স্টেশন থে‌কে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেনা‌পোল এক্স‌প্রেস ট্রেনে ওঠেন এলিনা, সৌমি ও আবু তালহাসহ ৬৫ জন যাত্রী। বাবার কুলখা‌নি শে‌ষে ৬ মা‌সের শিশু সন্তান, বোন ডেইজি আক্তার রত্না, বোন জামাই ইকবাল বাহার ও তা‌দের দুই সন্তানসহ বেনা‌পোল এক্স‌প্রেস ট্রেনে ‘চ’ ব‌গি‌তে ঢাকায় যা‌চ্ছিলেন এলিনা। অন্যদিকে সৌমি ঢাকায় তার ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। আবু তালহাও যাচ্ছিলেন ঢাকায়।

তবে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছা‌নোর আগে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের ‘চ’ বগিসহ মোট চারটি বগি পুড়ে যায়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৪ যাত্রী। আর এরপর থেকেই নিখোঁজ এলিনা, সৌমি ও আবু তালহা।

চন্দ্রিমার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে আগুন লাগার আধাঘণ্টা আগেও চন্দ্রিমার সঙ্গে কথা হয় পরিবারের। তবে ট্রেনে আগুন লাগার পর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

চন্দ্রিমার চাচা অতনু বলেন, চন্দ্রিমার পড়ালেখা শেষ। সে ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির চেষ্টা করছিল। গতকাল সে রাজবাড়ী স্টেশন থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশে যায়। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার কোনো সন্ধান পাচ্ছি না আমরা।

আবু তালহার বাবা আব্দুল হক বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালীতে হলেও আমরা এখন ফরিদপুরে থাকি। আবু তাহের গতকাল সন্ধ্যায় ফরিদপুর স্টেশন থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশে যায়। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাইনি।

জানা গেছে, এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলিনার সঙ্গে থাকা বোন, বোনের স্বামীসহ সবাই দগ্ধ হয়েছেন। বর্তমা‌নে তারা ঢাকা মে‌ডি‌কে‌লে চি‌কিৎসাধীন র‌য়ে‌ছেন। তবে এ ঘটনার পর থেকে এলিনা ইয়াসমিনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে এ ঘটনার পর সৌমি ও আবু তালহার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না তাদের পরিবার। তাদের খোঁজ পেতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহ‌যো‌গিতা কামনা ক‌রে‌ন পরিবারের সদস্যরা।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজবাড়ী জেলার জন্য আসন বরাদ্দ থাকে মোট ৫৫টি। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাজবাড়ী থেকে আনুমানিক ৬৫ জন যাত্রী বেনাপোল এক্সপ্রেসে ঢাকার উদ্দেশে যায়।

(ঢাকাটাইমস/৬জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কায়কোবাদ
পুরানা পল্টনের সাব্বির টাওয়ারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ারের ৭ ইউনিট
যারা নির্বাচন পেছাতে চায় তারা ফ্যাসিবাদকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে : সালাম
ডা. জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে যা জানাল পুলিশ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা