৫ বছরে শূন্য থেকে কোটিপতি, এবার জামানত হারালেন সেই বাবলু

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কপাল গুনে সংসদ সদস্য বনে যান রেজাউল করিম বাবলু। এরপর গত ৫ বছরে শূন্য থেকে হয়ে যান কোটিপতি। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসন থেকে জামানত হারিয়েছেন তিনি।

বাবলু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ (গাবতলী শাহজাহানপুর) আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভোটের লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি হবে।

বগুড়া-৭ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১২ হাজার ২৫৮। মোট প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫১টি। যার বৈধ ভোট গণনা করা হয় ১ লাখ ৮ হাজার ৭টি। এই আসনে জামানত রক্ষার জন্য একজন প্রার্থীকে পেতে হবে ১৪ হাজার ৫৬ ভোট। সেখানে রেজাউল করিম বাবলু ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৭টি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আলম নান্নু ৯১ হাজার ২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে আরও ১১ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়েছিলেন।

যেভাবে এমপি হন রেজাউল করিম বাবলু: বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনটি ‘জিয়া পরিবারের আসন’ হিসেবে পরিচিত। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান গাবতলী ও পাশের উপজেলা শাজাহানপুর নিয়ে এ আসন গঠিত। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সব জাতীয় নির্বাচনেই এ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি তিনি। এখানে বিএনপির মনোনয়ন পান দলের গাবতলী উপজেলা শাখার নেতা মোরশেদ মিলটন। তখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। আসনটি বিএনপিশূন্য হয়ে যায়। এখানে আওয়ামী লীগেরও প্রার্থী ছিলো না। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বড় অংশ ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদৌস আরা খানের পক্ষে। তিনি গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির আজম খানের স্ত্রী এবং শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রফি নেওয়াজ খানের শ্বাশুড়ি। এই অবস্থায় ভোটের একদিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমকে সমর্থন দেয় স্থানীয় বিএনপি। ফলে এক রাতের ব্যবধানে সংসদ হন বাবলু।

(ঢাকাটাইমস/৮জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)