নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ব্যবসায়ীর কাছে যুবদল নেতার চাঁদা দাবি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের আব্দুল মতিন প্রকাশ মাটি মতিন নামের এক মাটি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রহীম পাটোয়ারী নামের এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে পাল্টা মাটি মতিনের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা থেকে মাটি বিক্রির অভিযোগ করেছেন ওই যুবদল নেতা।
শুক্রবার সকালে জয়াগ ইউনিয়নের ক্যাগনা আশ্রয়ণ প্রকল্পে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যুবদল নেতা রহীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আব্দুল মতিন। এসময় আশ্রয়ণের বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল মতিন অভিযোগ করে বলেন, “গত কয়েকদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ক্যাগনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি জায়গা থেকে মাটি কেটে আশ্রয়ণের ভিতরে কবরস্থান বাঁধার কাজ করেন তিনি। তার এ কাজে আশ্রয়ণের লোকজন সহযোগিতা করে। কাজ করার সময় উপজেলা যুবদলের সদস্য আব্দুর রহীম পাটোয়ারী ওইস্থানে গিয়ে মাটি কাটতে হলে তাকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে মতিনকে বলেন। কিন্তু সেটি দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রহীম সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে তাকে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন মতিন।”
মাটি কেটে কবরস্থান বাঁধানোর বিষয়টি ইউএনওসহ সবাই জানেন। রহীম অপপ্রচার করে তার সামাজিক সম্মানহানী করছে এ বিষয়ে তিনি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের সদস্য আব্দুর রহীম পাটোয়ারী বলেন, “মাটি মতিন আওয়ামী লীগের শাসনামলে নেতাদের সমর্থনে এলাকায় মাটি লুটের উৎসব চালিয়ে ছিল। উপজেলার এমন কোনো জায়গা নেই যেখান থেকে মতিন মাটি তুলে বিক্রি করেনি। কয়েকদিন আগে সে অবৈধভাবে সরকারি আশ্রয়ণ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকার মাটি তুলে নিয়ে ক্যাগনার কয়েকটি জায়গায় বিক্রি করেছে। তার এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলছে।”
তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরিন আক্তার বলেন, “সরকারি আশ্রয়নের পুকুর থেকে মাটি তুলে কবরস্থানের কাজ করা হচ্ছে। এর বাইরে কোথাও মাটি যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে আশ্রয়নের পাশে সরকারি জায়গাতে থাকে এমন কয়েকজন ওই জায়গা থেকে তাদের সরানো হবে এ ভয়ে মিথ্যা কিছু অভিযোগ তুলছে।
(ঢাকাটাইমস/০১মে/এফএ)

মন্তব্য করুন