বনানীতে সীসা লাউঞ্জে ডিএনসির অভিযান, আটক ২

রাজধানীর বনানীতে অবৈধ সিসা লাউঞ্জে অভিযান চালিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো. উত্তর কার্যালয়ের সদস্যরা অভিযানটি পরিচালনা করেন।
অভিযানে বনানীর ১১ নম্বর সড়কে অবস্থিত ‘হেজ’ নামের একটি সিসা লাউঞ্জ থেকে সাত কেজি অবৈধ সিসা, ২৬টি সেবনের হুক্কাসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ডিএনসির গুলশান সার্কেলের পরিদর্শক এস.এম. সামসুল কবীর বাদী হয়ে ডিএমপির বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আটককৃত দুইজনসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আটককৃত আসামিরা হলেন- সাইফুল ইসলাম জসীম (৩৫) ও মো. ইমরান হোসেন (৩২)। এছাড়া পলাতক আসামিরা হলেন-কাজী মোহাম্মদ সাম (৩৪), নাজমুল শাকিল (৩৫), চৌধুরী গোলাম আনাস (৩১), মোহাম্মাদ আম্মার (৩৫), মুফরাত হাসান বান্টি (৩০), আল রহমান (৩২) , সাদমান হোসেন (২৯), সাকিব হোসেন (৩৪), সৈয়দ মুহাম্মাদ তাহমিদ আহসান (২৭), আহমেদ মোস্তফা রাসেল (৪৭)। পলাতক সবাই অংশীদার ভিত্তিতে লাউঞ্জটি পরিচালনা করেন। অভিযানের খবরে তারা লাউঞ্জ থেকে পালিয়ে যান।
শুক্রবার বনানী থানার একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএনসির ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর উপপরিচালক মো. শামীম আহামেদের তত্ত্বাবধানে ডিএনসির একটি রেইডিং পার্টি বৃহস্পতিবার রাতে অবৈধ সিসা লাউঞ্জ ‘হেজ’ থেকে সাতটি প্লাস্টিকের জারে ৭ কেজি অবৈধ সিসা, লাউঞ্জের বিভিন্ন টেবিল ও কাউন্টার থেকে ২৬টি হুক্কা, ক্যাশ টেবিলের ড্রয়ার থেকে ২৩ হাজার ৮২০ টাকা জব্দ করা হয়। এসময় ক্যাশ কাউন্টার থেকে সাইফুল ইসলাম জসীম (৩৫) ও মো. ইমরান হোসেনকে (৩২) আটক করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানান, কাজী মোহাম্মদ সাম (৩৪), নাজমুল শাকিল (৩৫), চৌধুরী গোলাম আনাস (৩১), মোহাম্মাদ আম্মার (৩৫), মুফরাত হাসান বান্টি (৩০), আল রহমান (৩২), সাদমান হোসেন (২৯), সাকিব হোসেন (৩৪), সৈয়দ মুহাম্মাদ তাহমিদ আহসান (২৭), আহমেদ মোস্তফা রাসেল (৪৭) মোট ১০ জন অংশিদারির ভিত্তিতে লাউঞ্জটি পরিচালনা করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত আলামত বিভাগীয় হেফাজতে আছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে প্রেরণসহ পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে ডিএনসি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বলছে, সিসা ‘খ’ শ্রেণির মাদক হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অন্তর্ভুক্ত। ফলে এ ধরনের লাউঞ্জ অবৈধ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা আছে, শূন্য দশমিক ২ শতাংশের বেশি নিকোটিনযুক্ত যে কোনো তরল বা পানীয় ‘খ’ শ্রেণির মাদক। সিসা বিভিন্ন ধরনের ভেষজের নির্যাস সহযোগে ০.২ শতাংশের বেশি নিকোটিন এবং এসেন্স ক্যারামেল মিশ্রিত স্লাইস দিয়ে তৈরি। এটি বহন, সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রয় করার অপরাধে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর শাস্তির বিধান রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৬মে/এলএম/এফএ)

মন্তব্য করুন