বাগেরহাটে সবুর শেখের ‘ব্ল্যাঙ্ক চেকের’ ফাঁদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৬

স্বামীর মৃত্যুর আগে চিকিৎসার জন্য নিলীমা হালদার ধার নিয়েছিলেন ৮ হাজার টাকা। পাওনাদার সুবর শেখকে বিনিময়ে পরিশোধ করেন ২০ হাজার টাকা। স্বামীর মৃত্যুর পর সবুর শেখ অসহায় নিলীমাকে আরও লোন দেওয়ার প্রলোভনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে বলেন।

নিলীমাকে নিয়ে সবুর ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়ে চেকবইয়ের দুটি খালি পাতায় (ব্ল্যাঙ্ক চেক) স্বাক্ষর করিয়ে পাতা ছিঁড়ে নেন। পরে নিলীমাকে নোটিশ পাঠিয়ে দাবি করেন, তার কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা পান!

এলাকায় সুদের কারবারি হিসেবে পরিচিত সবুর শেখ নিলীমার মতো অসংখ্য নিরক্ষর কিংবা স্বল্প শিক্ষিত মানুষকে এমন ফাঁদে ফেলেছেন বলে অভিযোগ আছে। একজন ইতোমধ্যে আত্মহত্যাও করেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিলীমাসহ মোট তিনজন। বাকি দুজন শ্রীকান্ত মজুমদার এবং কার্তিক মজুমদার।

শ্রীকান্ত মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমি সবুর শেখের থেকে ৩০ হাজার টাকা সুদে নিয়েছিলাম। বিনিময়ে তাকে দেড় লাখ টাকা দিয়েছি। টাকা নেওয়ার সময় সবুর আমার থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়েছিল। আমি আইন-কানুন না জানায় চেকে সই করি। এখন শুনি আমার নামে ৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার মামলা করেছে। আমি ১৫দিন জেলও খেটেছি।’

শ্রীকান্ত জানান, সবুর শেখ এভাবে মামলা করতে গোপালগঞ্জে বসবাস করা এক আত্মীয়র সাহায্য নিয়ে থাকেন। কখনো তিনি নিজে বাদী হন, কখনো ওই আত্মীয়কে বাদী করেন।

শ্রীকান্ত বলেন, ‘সবুর শেখের কারেন্ট সুদের খপ্পরে পড়ে আমার এলাকার একজন আত্মহত্যা করেছে। অনেকে দেশ ছেড়েছে, কয়েকজন নিঃস্ব হয়ে পথে পথে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বর্তমানে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভয়ে আছি। কারণ তার শক্তিশালী আদায়কারী বাহিনী ও মামলবাজ চক্র রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে উপজেলার শিবপুর গ্রামের লাল বিহারী মজুমদারের ছেলে কার্তিক মজুমদার বলেন, ‘আমি একই উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের ফহম উদ্দিন শেখের ছেলে আ. সবুর শেখের কাছ থেকে ভাইপোর বিদেশে যাওয়ার জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। এ টাকার সুদ হিসাবে তাকে আমি এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকা পরিশোধ করি। এ টাকা নিয়েও সে খ্যান্ত হয়নি। সে আমার দেওয়া ব্ল্যাঙ্ক চেক ফেরত না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার মামলা দায়ের করেছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সবুর শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ‘টাকা পাওনা না থাকলে কি কেউ চেক দেয়? আপনারা আপনাদের কাজ করেন, তারা তাদের কাজ করুক। আমি আমার কাজ করব।’

সবাই টাকা পরিশোধের পরও কেন মামলা করলেন- এমন প্রশ্ন করার আগেই কথা না বলে ফোন কেটে দেন সবুর শেখ।

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ডোমারে বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক 

ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে দুই কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গায় দশ কেজি গাঁজাসহ দুই  মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দি স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি

মফস্বল সাংবাদিকেদের ওয়েজ বোর্ডের আওতার আনার দাবি

আ.লীগ বিভ্রান্তিকর কথা বলে নিজেদের ভেতরকার অস্থিরতা আড়াল করছে: প্রিন্স

‘ওরাল ক্যান্সার’ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর

‘মনে হয় আত্মহত্যা করি, তাতে যদি বেঁচে যাই!’

ফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সাতক্ষীরা মেডিকেলের ডা. মাহমুদুল হাসান

গাজীপুরে দুর্ঘটনা: দুই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :