`বর্তমান সরকারের সময়ে সাংবাদিকতা চর্চায় এখনো বাধার সম্মুখীন হইনি'

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১৯৯৩ সালে ৩ মে-কে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। আজ শনিবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস।
স্বৈরশাসনের সময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং অন্তর্বর্তীকালীন একটি সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মিলিয়ে ফেলা নিছকই বোকামি হবে। আমার দেখেছি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নামের একটি নোংরা কালা কানুনের এই দেশে প্রচলন ছিলো, যার শিকার হয়েছিলাম আমি ও আমার সহকর্মীরা। কেবল কার্টুন আঁকার জন্যে তছনছ হয়েছিলো আমারই বন্ধুস্থানীয় আহমেদ কবীর কিশোর ও মুশতাক ভাইয়ের জীবন। মুশতাক ভাই তো কারাগারে মারাই গেলেন। তাদের নির্যাতনের বিভৎসতা অবর্ণনীয়। সাংবাদিক হোক বা এক্টিভিস্ট, অথবা খাদিজাতুল কুবরার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী — আওয়ামী কাল্টের; অপশাসন-দুর্নীতি-নিপীড়নের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছেন তাঁদের কেউই রেহাই পাননি।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে সাংবাদিকতার চর্চা করতে গিয়ে আমি এখনো পর্যন্ত তেমন কোন বাধার সম্মুখীন হইনি এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যতটা সম্ভব কো-অপারেট করেছে। যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তা হলো, আমার প্রতিষ্ঠানের কাজে এ পর্যন্ত যতজন সহকর্মী (বিদেশি নাগরিক) বাংলাদেশে পেশাগত কাজে ভ্রমণ করেছেন, তাদের প্রত্যেকের সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে ভিসা প্রদানে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশন, যে ধরনের আন্তরিকতা প্রদর্শন করেছেন তা বিগত সরকার তো বটেই, আর কোন রাজনৈতিক/তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিদেশি গণমাধ্যমের কর্মীদের বাংলাদেশে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করার বিষয় এতটা আন্তরিক ছিলেন - এমন ধারণাও পাইনি। আমার ক্ষেত্রেই কেবল এমনটা ঘটেনি, অন্যান্য আরো বেশ কয়েকটি বিদেশি গণমাধ্যমও একই ধরনের সেবা পেয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।
আশা করছি ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং সকল গণমাধ্যম-সাংবাদিকদের তাদের কাজের স্বাধীনতা, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং যথাযথ সহায়তা প্রদানের বিষয়টি সকল মহল বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন।
লেখক: অনুসন্ধানী সাংবাদিক

মন্তব্য করুন