আটঘরিয়ায় ফাঁদ পেতে পাখি শিকার: পাঁচজনকে অর্থদণ্ড, ১০টি পাখি অবমুক্ত
পাবনার আটঘরিয়ায় পাখি শিকারের ঘটনা পাঁচজনকে ২৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় আর পাখি শিকার করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে স্বাক্ষর করলে পাখি শিকারিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এই জরিমানা করেন আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহারুল ইসলাম।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের খিদিরপুর পাড়াসিদায় এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম (৬৫), খাজিরুদ্দীন ইসলাম (৬০) আবু তালেব (৬০) ও কাওসার হোসেন (১৭) এবং সুমন হোসেন (২১)। সকলেই একই গ্রামের বাসিন্দা।
এ সময় উদ্ধার করা ১০টি ঘুঘু পাখি অবমুক্ত ও জব্দকৃত কারেন্ট জালসহ পাখি শিকারের ফাঁদ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এর আগে বিকাল ৪টা দিকে উপজেলার খিদিপুরের পদ্মবিলের দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজন পাখি শিকারিকে আটক করে আটঘরিয়া থানা পুলিশ। এসআই আব্দুল লতিফ নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহারুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর এ সময় কিছু পেশাদার পাখি শিকারি নেট জালসহ বিভিন্ন ফাঁদ তৈরি করে পাখি শিকার করেন। এ বছরও উপজেলার বিভিন্ন বিলের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অবাধে পাখি শিকার চলছে।
এ বিষয়ে পরিবেশ কর্মী ও স্থানীয় প্রশাসন সজাগ আছেন। মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে পাখি শিকারিদের আটক করাসহ বিতাড়িত করা হয়। তারই ধারাবাহিকতা মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকাল ৪টা দিকে উপজেলার খিদিরপুরের পদ্মবিলের দুর্গম এলাকায় আটঘরিয়া থানার পুলিশ ফোর্স সদস্যরা দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এ অভিযান শুরু করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)