শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি চিত্রনায়িকা মিমের আহ্বান

তীব্র শীতে কাঁপছে সারা দেশ। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীত অনেক বেশি পড়েছে বলে মত অনেকের। এই কনকনে ঠান্ডায় বেশি সমস্যায় রয়েছেন নিম্নবিত্ত মানুষরা, যাদের শীত নিবারণের জন্য তেমন কোনো গরম কাপড় নেই, আবার রাতে গায়ে জড়ানোর মতো লেপ বা কম্বল নেই।
অসহায় সেসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মিম। ছোটবেলার দেখা শীতের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এবং এই মুহূর্তে যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের সহায়তার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
নায়িকা লিখেছেন, ‘আমার ছোটবেলা কেটেছে তিন জেলায়- ভোলা, কুমিল্লা ও রাজশাহী। কুমিল্লায় তুলনামূলক শীত কম ছিল। তবে ভোলা ও রাজশাহীর শীতের কথা মনে পড়লে এখনো গায়ে কাঁপুনি দেয়। হাড়ভাঙা শীত।’
‘ক্লাস সেভেন পর্যন্ত আমি ভোলায় পড়াশোনা করেছি। তখন রাত ৮টা-৯টা বাজলেই আর কাউকে পাওয়া যেত না। সবাই ঘুমিয়ে পড়ত। মা যখন রান্না করতেন, আমি চুলার পাশে বসে থাকতাম। দাদু-দিদারা সকাল ও সন্ধ্যায় আগুন পোহাতেন খড় জ্বালিয়ে। সেসব দিন খুব মিস করি।’
‘এখনকার ছেলেমেয়েরা শীতের প্রভাব তো দেখেইনি। তবে শীতে যেমন কষ্ট পেতাম তেমন আনন্দও ছিল। আমার দিদাদের বাড়িতে ঢেঁকি ছিল। বিকেলবেলা ধান ভেনে নতুন চালের পিঠা তৈরি করতেন দিদা। তেলের পিঠা, রসে ভেজানো পিঠা, কাঁচি পোড়া, কুল পিঠা আরো কত কী!’
‘মনে হচ্ছে, এবার গত কয়েক বছরের তুলনায় শীতটা একটু বেশিই পড়েছে। আমি ঢাকায় থাকি, তাই শীতের প্রভাবটা অতটা বুঝিনি। সংবাদে দেখছি উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ খুব কষ্টে আছে।’
‘এর মধ্যে খুলনা, কুষ্টিয়াসহ দেশের কয়েক জায়গায় বৃষ্টিও হয়েছে। জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে, বুঝতে পারছি। এই সময় দেশের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। সবাই যার যার মতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়াবেন, এই অনুরোধ থাকল।’
পাশে এই শীতে নিজের ত্বকের যত্ন কীভাবে নিচ্ছেন, তাও শেয়ার করেছেন মিম। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমি বরাবরই ত্বকের প্রতি যত্নশীল। আমার ত্বক একটু ড্রাই, তাই শীতকালে লোশন লাগতই। এখনো বাইরে গেলে আর কিছু থাক বা না থাক আমার ব্যাগে লিপজেল থাকবেই।’
মিমের কথায়, ‘একটু পর পর ঠোঁট শুকিয়ে গেলে লিপজেল ব্যবহার করি। এখন তো মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। আমাদের ছোটবেলায় দেখেছি, ত্বকের যত্ন সম্পর্কে অনেকেই উদাসীন ছিল। এখন অবশ্য দূর পাড়াগ্রামের মানুষও শীতে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে।’
(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন