ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দুর্দান্ত ঢাকা থামল ১৩৬ রানেই

চলতি বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে দুর্দান্ত ঢাকা। শেষ পর্যন্ত তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয়।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো ঢাকা মাত্র ৩৩ রানেই হারায় ৪ উইকেট। এরপরে দলের বিপদে হাল ধরেন দানুশকা গুনাথিলাকার কনকাশন সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নামা লাসিথ ক্রুসপুল্লে ও ইরফান শুক্কুর। তবে দলীয় ১০৬ রানে লাসিথ ক্রুসপুল্লের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। তার পরে আর বেশিদূর এগোতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয় রাজধানীর দলটি।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা। ঢাকার হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন মোহাম্মদ নাঈম ও দানুশকা গুনাথিলাকা । তবে ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় ওভারেই আল-আমিনের করা বল ইনসাইড এজ হয়ে আঘাত করেছে দানুশকা গুনাথিলাকার হেলমেটে। পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
তবে বোঝা গেল খেলার মত অবস্থায় নেই আর। গাল থেকে রক্ত ঝরছিল। পরে অবশ্য ঢাকার ফিজিও এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আর মাঠে থাকা হয়নি এই লঙ্কান ব্যাটারের। উঠে যেতে হয়েছে। ঢাকা চাইলে এবার নামবে কোনো কনকাশন সাবস্টিটিউট।
দানুশকা গুনাথিলাকা মাঠ থেকে বেরিয়ে গেলে ক্রিজে আসেন সাইফ হাসান। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। আল-আমিনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৯ বলে ৯ রান।
সাইফ হাসানের পর সাজঘরে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। শুভাগত হোমের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ক্যাচ তুলে তিনি। সেখানে দাঁড়ানো নিহাদুজ্জামান ক্যাচটি তালুবন্দী করতে ভুল করেননি। যার ফলে ৬ বলে শূন্য রান করেই সাজঘরে ফিরে যেতে হয় তাকে।
আগের ম্যাচে অর্ধশতক তুলে নেওয়া মোহাম্মদ নাঈমও আজ ব্যর্থ ছিলেন। ১১ বলে মাত্র ৮ রান করে নিহাদুজ্জামানের বলে কাভার পয়েন্টে তানজিদ হাসান তামিমের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
নাঈমের পথ ধরে সাঘরে ফিরে যান আলোড়ন তোলা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার অ্যালেক্স রস। ৯ বলে মাত্র ১১ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৩৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দুর্দন্ত ঢাকা।
মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন লাসিথ ক্রুসপুল্লে ও ইরফান শুক্কুর। দানুশকা গুনাথিলাকা কনকাশন সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নামেন তিনি।
এই জুটিতে ভর করে ১৫ করে ২ বলে দলীয় শতক পূর্ণ করে ঢাকা। তবে দলীয় ১০৬ রানে লাসিথ ক্রুসপুল্লের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। অর্ধশতকের দ্বারপ্রান্তে থাকা লাসিথ ক্রুসপুল্লে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে এক্সট্রা কাভারে শুভাগত হোমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। আউট হওয়ার আগে করেন ৩১ বলে ৪৬ রান।
লাসিথ ক্রুসপুল্লের পর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি চতুরাঙ্গা ডি সিলভাও। আল-আমিনের শিকার হয়ে ৩ বলে মাত্র ৩ রান করেই ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ১১১ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ঢাকা।
ঢাকার বিপদ আরও বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইরফান শুক্কুরও। ২৬ বলে ২৭ রান করা শুক্কুর বিলাল খানের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
শেষের দিকে তাসকিন আহমেদের ১ ৫ রানে ভর করে ১৩৬ রানেই থামে ঢাকা। জয়ের জন্য চট্টগ্রামের দরকার ১৩৭ রান।
(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন