রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম‍্যাচে বরিশালকে হারাল কুমিল্লা

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৮| আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৪
অ- অ+

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলের দশম আসরে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার এক ম্যাচ উপেভোগ করলো ক্রিকেটপ্রেমীরা। যেখানে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে শেষ ওভারের পঞ্চম বলে জয় তুলে নিলো বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার কাছে ৫ উইকেটে হেরে যায় তারা। আর আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে আসরের প্রথম জয় তুলে নিলো তারা। অন্যদিকে এবারের আসরে প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ার পর টানা হারের স্বাদ পেলো তামিমের বরিশাল।

বনিশালের দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮১ রানেই ৪ উইকেট হারায় কুমিল্লা। এরপর দলের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস ও জাকির আলি। ইমরুল ৫২ রানে ফিরে গেলেও জাকির আলি ২৩ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। খালেদ আহমেদের করা ওভারের প্রথম বলটি ব্যাটে খেলতে পারেননি জাকের আলী, উইকেটকিপারের হাতে বল রেখে রান নিতে গিয়ে আউট হন অপর প্রান্তে থাকা খুশদিল শাহ। এই রান আউট কুমিল্লার জন্য সাপে বড় হয়েছে! উইকেটে এসেই পরের ৩ বলে ১০ রান তোলেন ম্যাথু ফ্রড। তাতে শেষ ২ বলে প্রয়োজন হয় ১ রান। এক বল হাতে রেখেই সেই সমীকরণ মিলিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাবধানী শুরুই করেছিলেন কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে এই জুটিও বেশিদূর যেতে পারেনি। দলীয় ২৬ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি।

দুনিথ ভেল্লালাগের বলে মিড উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। আউট হওয়ার আগে করেন ১৪ বলে ১৭ রান।

মোহাম্মদ রিজওয়ানের পরের বলে সাজঘরে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়ও। দুনিথ ভেল্লালাগের বলে মিড অফে শোয়েব মালিকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে শূন্য রানেই ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ২৬ রানেই ২ উইকেট হারায় কুমিল্লা।

২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে কুমিল্লাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন লিটন ও ইমরুল কায়েস। দ্রুত রান তুলতে না পারলেও উইকেটে টিকেছিলেন তারা দুজন। ইমরুল ও লিটনের জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ। খালেদ আহমেদের বলে মিড অনে থাকা আব্বাস আফ্রিদির হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। কুমিল্লার অধিনায়ক এদিন সাজঘরে ফিরেছেন ১৯ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে।

ফিরতে পারতেন ইমরুলও। খালেদের বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে গিয়ে খেলেছিলেন তিনি। ক্যাচ উঠলেও দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে ক্যাচ নিতে পারেননি মিরাজ ও প্রিতম কুমারের কেউ। তাতে ২২ রানে জীবন পান ইমরুল। এদিকে মাত্র ১৩ রানে আউট হয়েছেন রস্টন। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে আবারও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ইমরুল।

প্রথম ম্যাচে পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস খেলা বাঁহাতি এই ব্যাটার এদিন হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মিরাজের বলে ৪ মেরে ৩৯ বলে। যদিও পরের ওভারেই আউট হয়েছেন তিনি। আব্বাস আফ্রিদির বলে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দিয়েছেন ৫২ রানের ইনিংস খেলা ইমরুল। তবে শেষ দিকে জাকের অপরাজিত ২৩, খুশদিল ১৪ এবং ফোর্ড ১৩ রান করে কুমিল্লাকে জয় এনে দিয়েছেন।

এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা