মরণ ফাঁদে পরিণত ব্রিজ, দ্রুত সংস্কারের দাবি

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে একটি ব্রিজ। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে শত শত শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে স্থানীয়দের কাছে।দুর্ভোগ লাঘবে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের ভারই মধ্যপাড়ার তিন রাস্তার মোড়ে দুই যুগ আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এ ব্রিজ দিয়ে অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চারজন সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ির যাতায়াতের মাধ্যম। অথচ তারা কেউ ব্রিজটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি।
ভুক্তভোগীরা জানান, দুই বছর আগে ব্রিজটিতে ফাটল দেখা দিলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ছোট-বড় ভারি যানবাহন চলাচলে চাপ বেড়ে যাওয়ায় ব্রিজটি এখন ধসে যাচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক আগেই ভেঙে গেছে ব্রিজটির দুপাশে রেলিং। সম্প্রতি ব্রিজের মাঝখানে ধসে পড়ার পর কোনো রকম মেরামত করা হয়। বর্তমানে ব্রিজটি ফের ধসে যাচ্ছে। এতে মোটরসাইকেল, ভ্যান-রিকশাচালক ও যাত্রীরা ব্রিজের ধসে পড়া গর্তে পড়ে আহত হচ্ছেন।
ভারই দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের হাসান, হৃদয় ও নাজমা খাতুনসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ব্রিজটির বিভিন্ন অংশ ধসে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। আমাদের অনেক সহপাঠীরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটি সংস্কার করাসহ মেরামত করার দাবি জানান তারা।
ভারই দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম তালুকদার সেলিম বলেন, ‘এই ব্রিজ দিয়ে এলাকার চারজন সাবেক চেয়ারম্যানসহ কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। বর্তমানে ব্রিজটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রুত সংস্কার না করা হলে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।’
অলোয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘সম্প্রতি ব্রিজটি ধসে যাওয়ায় মেরামত করেছিলাম। ফের ধসে যাচ্ছে। নতুন ব্রিজ নির্মাণে আবেদন করা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানলাম, সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন