হার্ট অ্যাটাক হতে পারে নাক ডাকার মধ্যেও! জানুন, সাবধান হোন

স্বাস্থ্য ও ফিচার ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০

আমাদের অনেকেরই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে। এতে বিরক্ত হন পাশে ঘুমিয়ে থাকা মানুষটি। ঘুমের ভ্যাঘাত ঘটায় আশপাশের আরও অনেকের। অথচ যিনি নাক ডাকেন, তিনি কিছুই টের পান না। বরং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সমস্যাটার কথা বললে তিনি যেন আকাশ থেকে পড়েন।

কিন্তু নাক ডাকার এই সমস্যা কেন হয়? এর সমাধানই বা কী?

চিকিৎসকরা বলছেন, নাক ডাকা শব্দটাই ভুল। অধিকাংশ সময়ই এই আওয়াজ নাক থেকে হয় না। হয় গলা বা নাকের পেছনের অংশ থেকে। আসলে নাক থেকে বায়ু প্রবেশ করে শ্বাসনালী হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায়। কোনো কারণে এই বায়ু চলাচলের পথে কোথাও বাধা সৃষ্টি হলে টার্বুলেন্ট এয়ার তৈরি হয়। তখন এই আওয়াজটা শোনা যায়।

কয়েকটি কারণে এই সমস্যা বেশি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। যেমন- ওবেসিটি বা শরীরের ওজন বেশি হওয়ার কারণে, নাকের হাড় বেঁকে গেলে, গলায় কোথাও মাংসপেশি স্ফিত হলে, জিহ্বার নীচের অংশ স্ফিত হয়ে গেলে নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। যে কোনো বয়সে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বেশিরভাগ মানুষ নাক ডাকার সমস্যাকে প্রথমে পাত্তা দেন না। তবে পরে দেখা যায় জটিলতা বেড়ে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার দিকে গেছে। এই রোগীদের ঘুমের মধ্যে শ্বাস আটকে যায়। তখন হার্ট রেট বেড়ে যেতে পারে। এমনকি ব্লাড প্রেশার অস্বাভাবিক হয়ে যায়। এমনটা প্রতিদিন চলতে থাকলে একটা সময়ে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

তাই এই সমস্যা ফেলে না রাখার পরামর্শই দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অনেক সময় আপনার সামনেই বিপদ থাকে। তবু আপনি চিনতে পারেন না। তাই কিছু উপসর্গ দেখলেই পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। যেমন- ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তি বোধ করা, সারাদিন ঘুম পাওয়া, রাতে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে পড়া, সকালে মাথা ভারী লাগা এবং কাশি কোনোভাবেই না কমা।

চিকিৎসাতেই মুশকিল আসান

চিকিৎসকরা বলছেন, প্রথমে রোগটা কেন হয়েছে জানতে হবে। সেক্ষেত্রে পলিসোনোগ্রফি টেস্ট করতে হয়। এই পরীক্ষা ঘুমন্ত অবস্থায় করা হয়। এছাড়া এক্সরে, সিটি স্ক্যান করা যেতে পারে। এভাবেই রোগ ধরা পড়ে রোগ।

যা যা করতে হবে

ওজন কমাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওয়ার্কআউট করুন বা ওষুধ খান। সি প্যাপ যন্ত্র মুখে লাগিয়ে ঘুমাতে হবে। কোথাও কোনো মাংস পিণ্ড বড় হলে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। দেখা গেছে পাশ ফিরে শুলে নাক ডাকার সমস্যা কমে। তবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই, বরং চিকিৎসা করানো উত্তম।

(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :