জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক আইনে দায়ের করা দুইটি পৃথক মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে হত্যা মামলার ৪ আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একইদিন মাদক মামলায়ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় প্রদান করেন।
হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর এলাকার জাইবর আলীর ছেলে সোহাগ, মৃত তৈমুদ্দিনের ছেলে রায়হান, নিজাম উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম ও লোকমানের ছেলে হারুনুর রশীদ। এরমধ্যে হারুনুর রশীদ পলাতক রয়েছেন। এছাড়া মাদক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সুজন সরদার একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের সোলাইমান সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জয়পুরহাটের খনজনপুর এলাকার বাদল প্রামাণিকের ছেলে সাহাদুল ইসলাম শহরের ২নং স্টেশনরোড এলাকায় কম্পিউটারের দোকান করতেন। সে দোকানে ব্যবসায়িক লেনদেনের কারণে আসামিদের কাছে ৬০ হাজার টাকা পাওনা হন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। ২০১০ সালের (৬ জানুয়ারি) সাহাদুল রতনপুর এলাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে জয়পুরহাটে যাওয়ার পথে বাগুয়ান এলাকায় আসামিরা লাঠি ও গাছের ডাল দিয়ে সাহাদুলের মাথায় আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর আসামি আমিনুল ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য সাহাদুল এক্সিডেন্ট করেছে বলে প্রচার করে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যান। সেখানে সাহাদুলের অবস্থা আরও অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের মা শাহেরা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় প্রদান করেছেন।
এদিকে ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর পাঁচবিবির উত্তর গোপালপুর গ্রাম থেকে ১১৯ বোতল ফেনসিডিলসহ সুজন সরদার ও রিতা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে রিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছে আদালত।
(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন