খানসামায় স্কুল শিক্ষকের মানবেতর জীবনযাপন, বেতন পাননি ১৪ মাস

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন কুমড়িয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মন্টু আলী। গত ১৪ মাস ধরে বেতন না পেয়ে এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
তবে বিদ্যালয়ের কমিটি না থাকায় বেতন প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ নিয়ে মোকছেদ আলী ও মন্টু আলীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এ ঘটনায় স্কুলে হাতাহাতি, মানববন্ধন ও মামলাও হয়েছে। এসব ঘটনার জেরে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মন্টু আলীকে বেতন প্রদান করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মো. মন্টু আলীর দায়ের করা রিট পিটিশনটি (পিটিশন নং- ১০৯৩২/২০২৩) ২০২৩ সালের ১৪ মে মাসে নিষ্পত্তি হয়। এতে অত্র বিদ্যালয়ের কোনো কমিটি না থাকায় খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মন্টু আলীকে বেতন-ভাতাদি প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন পূর্ণাঙ্গ বেতন-ভাতা প্রদান না করা এবং ৬০ দিনের মধ্যে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিষ্পত্তি না করায় ও সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদ ৬ মাস অতিক্রান্ত হওয়ায় হাইকোর্টে করা রিট নং- ১৮৬১৬/২০১৭ এর নির্দেশনা মোতাবেক তাকে স্ব-পদে বহাল করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এ প্রক্রিয়াটি বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন হলে তখন কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মো. মন্টু আলী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড আমাকে বেতন-ভাতাদি প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করলেও অজ্ঞাত কারণে বেতন ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পাওয়ায় কষ্টে দিন পর করছেন বলে জানান তিনি।
তবে ভিন্ন কথা বলছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোখছেদ আলী। তিনি মুঠোফোনে জানান,মন্টু আলী বিদ্যালয়ে না আসার কারণে বেতন দেওয়া হচ্ছে না। তিনি নিয়মিত স্কুলে আসলে বেতন দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী বেতন প্রদানের জন্য বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন