বই শুধু কাগজে নয়, ডিজিটাল করারও তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
একুশে বই মেলায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার। বলেন, এখন আর কাগজের প্রকাশ হলে হবে না, ডিজিটাল প্রকাশ হতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানী বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এরআগে বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরুস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বই মেলার জায়গাটা ছোট হয়ে গেছে, কীভাবে বড় জায়গায় নেওয়া যায় সেটাও ভাবতে। রক্তের বিনিময় আমরা যে ভাষা আদায় করেছি সেই ভাষা এখন সারবিশ্বে পালিত হচ্ছে। আমরা বলেছিলাম যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনউস্টিউট করবে সেটা করছি।
একুশের বই মেলায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর বলেন, এখন আর কাগজের প্রকাশ হলে হবে না ডিজিটাল প্রকাশ হতে হবে। লাইব্রেরি গুলোতে এখন অডিও রেকর্ড থাকে হবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে মধুর ভাষা হলো বাংলা ভাষা। কিভাবে আন্তর্জাতিক ভাবে কবি ও সাহিত্য মেলা করা যায়, সেটাও ভাবেতে হবে।
তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে বই মেলা করা হবে। যাতে আমাদের শিশুরা এই বই মেলা থেকে সম্পর্কে জানতে পারে এবং জ্ঞান আহরণ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এসব জায়গায় এসে কোনো মজা নেই। ডানে-বামে নিরাপত্তা। এতো নিরাপত্তা যে, কিছু করে মজা নেই।
তিনি বলেন, বই মেলা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন। ভাষা সাহিত্যের এবং সাংস্কৃতির যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলা ভাষাকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। অনেক আন্দোলনের সূতিকাগার হলো বাংলা একাডেমি। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে স্বাধীনতা।
বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বাংলা একাডেমি আয়োজিত এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ (বই পড়ো, দেশ গড়ো: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ)।’
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটের পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন মেলা সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকাটাইমস/১ফেব্রুয়ারি/জেএ/ইএস