যুদ্ধ শুরুর পর গাজায় ১০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গত প্রায় চার মাসের প্রায় ১০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় একই সংখ্যক যোদ্ধা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত। খবর রয়টর্সের।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘খান ইউনিসে আমাদের অভিযান সফল হচ্ছে। শিগগিরই আমাদের সেনারা রাফায় পৌঁছাবে এবং সন্ত্রাসীদের আস্তানাগুলো ধ্বংস করবে।’
রাফাহ মিশরের সঙ্গে গাজা সীমান্তের একটি শহর, যেখানে অসংখ্য বাস্তুচ্যুত বেসামরিক ফিলিস্তিন আশ্রয় নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
প্রায় চার মাস ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্তুচ্যুত এবং তাদের সকলেই খাদ্য নিরাপত্তাহীন। অন্যদিকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কমেছে প্রায় অর্ধেক।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
(ঢাকাটাইমস/০২ফেব্রুয়ারি/এমআর)