বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে জরিমানা করায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

ঈদে দূরপাল্লাসহ সব ধরনের যানবাহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছিল না শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বাসগুলো। নেওয়া হচ্ছিল অতিরিক্ত ভাড়া। এই অভিযোগে জরিমানা করায় উল্টো বেঁকে বসলেন শ্রমিকরা। সড়কে আড়াআড়িভাবে বাস রেখে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ রাখলেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
শনিবার রাতে শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে নির্ধারিত ভাড়া ২৯৫ টাকা হলেও ঈদ উপলক্ষে বাস মালিক সমিতি যাত্রীদের থেকে জনপ্রতি ৪০০ টাকা ভাড়া আদায় করছিল। এভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে শরীয়তপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস এলাহী ‘শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস লিমিটেডে’র একটি বাসকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাস মালিক সমিতি ও বাস শ্রমিকরা এসে সড়ক অবরোধ করেন। অবরোধ সমর্থন করে সড়কে আড়াআড়িভাবে বাস রাখেন। ফলে সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ঢাকা-শরীয়তপুর রুটের কোটাপাড়া থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যাটজট সৃষ্টি হয়। দেড় ঘণ্টাব্যাপী ২ কিলোমিটার সড়কে এমন যানজট সৃষ্টি হলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় হলে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা।
জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু বেপারীর দাবি, সরকার নির্ধারিত ভাড়া ২৯৫ টাকা হলেও সারা বছর তারা ২৫০ টাকা ভাড়া আদায় করেন। তাই ঈদ উপলক্ষে বেশি ভাড়া আদায় করছেন।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি সব কর্মচারীদের বোনাস থাকলেও বাস শ্রমিকদের কোনো বোনাস নেই। তাছাড়া ঢাকা থেকে বাস বোঝাই করে যাত্রী পাওয়া গেলেও ঈদের কারণে শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় খালি গাড়ি যায়। কিন্তু আমাদের সরকার নির্ধারিত টোলসহ অন্যান্য ফি ঠিকঠাক দিতে হয়। একারণে আমরা সমন্বয় করে ৪০০ টাকা ভাড়া আদায় করছিলাম। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে ম্যাজিস্ট্রেট এসে প্রতিনিয়ত জরিমানা করছে৷ এছাড়াও বাস শ্রমিকদের মোবাইল ভাঙাসহ খারাপ আচরণ করছে। বাস শ্রমিকরা কী মানুষ নয়! তাদের সঙ্গে কেন এমন আচরণ করা হবে? এসব অন্যায়ের কারণে আমরা সড়ক অবরোধ করেছিলাম। প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টির সমাধান হয়ে যাওয়ায় আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি।
তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ফের এমন আচরণ করা হলে আমরা আবারও সড়ক অবরোধ করব।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি শরীয়তপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস এলাহী।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার পর গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/ইএস)

মন্তব্য করুন