কুমার নদের পাড়ে শুরু হলো জসীম পল্লী মেলা 

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৬

ফরিদপুরে শুরু হয়েছে জসীম পল্লী মেলা। ১৯ দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)। শুক্রবার বিকালে পল্লী কবির নিজ বাড়ির গোবিন্দপুরের কুমার নদের পাড়ে বেলুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন।

গ্রাম বাংলার প্রাণের কবি পল্লী কবি জসীমউদ্দিন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বাড়ি যাইও ভোমর বসতে দেব পিঁড়ে, জলপান যে করতে দেব, শালি ধানের চিঁড়ে।’

আবার নিমন্ত্রণ কবিতায় আহবান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘তুমি যাবে ভাই-যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়।’

তার এই নিমন্ত্রণকে সাড়া দিয়ে কবির গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কুমার নদের পাড়ে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় পল্লী মেলা। যেখানে সারাদেশ থেকে কবির ভক্তবৃন্দ মেলায় সামিল হয়।

এবারের বৃহত্তর এ আয়োজনে থাকছে পুতুল নাচ, সার্কাস, নাগরদেলা, সন্ধ্যা জসীম মঞ্চে গ্রামবাংলার সাংস্কৃতিক আয়োজন, বাহারি ধরনে খাবারের পসরাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কুটির শিল্পের বিভিন্ন পণ্য, যার আকৃষ্ট হয়ে দূরদূরান্ত থেকে মেলা চলাকালীন প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের মিলন মেলা ঘটে এখানে।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মেলায় বিভিন্ন পণ্যের ভালো বেচা-কেনার আশা রয়েছে আয়োজক ও ব্যবসায়ীরা।

মেলায় আগত দর্শনার্থীরা এ আয়োজন দেখে খুশি। তারা জানান, পল্লী কবির এই পল্লী মেলার আয়োজন আরো বৃহত্তর পরিসরে করলে দেশের গ্রামবাংলার সংস্কৃতির সাথে নতুন প্রজন্মের মেলবন্ধন করতে পারবে।

জসীমউদ্দিন শুধু গ্রামেরই কবি ছিলেন না, তিনি আধুনিক চিন্তার একজন কবি ছিলেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পাদক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)। তিনি বলেন, গ্রামের জীবন মানুষকে যেভাবে উজ্জীবিত করে, শহরের তা করে না। অধিকাংশ বিখ্যাত ব্যক্তিরা গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন।

১৯দিন ব্যাপী এ মেলা চলবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুর সদর আসনের এমপি এ.কে আজাদ, ফরিদপুর-২ আসনের এমপি শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী, কবির পুত্র খুরশিদ আনোয়ার।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জসীম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ মেলা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্টলে লোকজ বিভিন্ন চারু ও কারুপণ্যের বিপণনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলার মাঠ প্রাঙ্গণে জসীম মঞ্চে গান, নাচ, নাটকসহ বিভিন্ন লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। এতে ফরিদপুরের এবং জেলার বাইরের সাংস্কৃতিক দলগুলো অংশ নেবে। এছাড়াও মেলায় থাকছে হস্ত, মৃৎ, বাঁশ ও বেত শিল্পসহ গ্রামীণ মানুষের ব্যবহৃত নিত্যদিনের জিনিসপত্রও। শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য থাকছে সার্কাস, নাগরদোলাসহ বিভিন্ন রকমের রাইডস।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সাল থেকে জসীম মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ওই বছর ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ১ জানুয়ারি পল্লীকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে জসীম ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

(ঢাকা টাইমস/০৩ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :