জাবিতে গণধর্ষণ: ছক আঁকেন মামুন, রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩১ | প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৮

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে কৌশলে জঙ্গলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আলোচিত এই ঘটনার প্রধান মাস্টারমাইন্ড মামুনুর রশীদ মামুন। তাকে এখনও আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার ছকেই বাকি আসামিরা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।

শনিবার রাতে জাবিতে এই ঘটনার পর চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আজ রবিবার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় ধর্ষণের ঘটনার প্রধান মাস্টারমাইন্ড মামুনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে এই অভিযুক্ত। তাকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৃথক অভিযান চালালেও তাকে আটক করতে পারেনি। তবে তার অবস্থান শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র।

ঘটনার মাস্টারমাইন্ড মামুনুর রশীদ মামুন আগে থেকে ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর পূর্বপরিচিত। ঘটনার কিছুদিন আগে ভুক্তভোগীর স্বামীকে ফোন করে মামুন জানান, সাভারে তার থাকার জায়গা সংকট। সুযোগ পেলে কিছুদিন তার বাসায় থাকতে চান। সরল বিশ্বাসে ভুক্তভোগীর বাড়িতে কিছুদিন থাকেন মামুন। গতকাল মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে ফোনে বলেন, ‘আমার জাবি হলে মোস্তাফিজ নামে এক বড়ভাই থাকার ব্যবস্থা করেছে। আপনি দ্রুত জাবিতে আসেন। আসার পর তার মোবাইল ফোন দিয়ে কৌশলে তার স্ত্রীকে ক্যাম্পাসে ডেকে আনেন। পরে মীর মশাররফ হোসেন হলে আটকে রেখে ভুক্তভোগীর স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। পরে অভিযুক্ত চারজনকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন ক্যাম্পাসের কয়েকজন। রাতেই ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ অভিযান শুরু করে এবং রবিবার মামলা হলে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এদিকে জাবি হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চারজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান।

এদিন পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে। এরপর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান। এ বিষয়ে শুনানি শেষে আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছে, আলোচিত এই ঘটনায় ১, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। দুই ও তিন নম্বর আসামিরা এখনও পলাতক। তাদের মধ্যে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড মামুনের অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৪ফেব্রুয়ারি/এসএস/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

সোনার ধানের মায়ায় হাওরে নারী শ্রমে কৃষকের স্বস্তি

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর বার্তা দেবে আ. লীগ 

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন: চাহিদা বেড়েছে তরমুজের, ক্রেতা কম ডাবের

গাছ কাটার অপরাধে মামলা নেই 

কথায় কথায় মানুষ পেটানো এডিসি হারুন কোথায়? থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের তদন্ত কোথায় আটকে গেল?

মজুত ফুরালেই বাড়তি দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংকট

ছাদ থেকে পড়ে ডিবি কর্মকর্তার গৃহকর্মীর মৃত্যু: প্রতিবেদনে আদালতকে যা জানাল পুলিশ

উইমেন্স ওয়ার্ল্ড: স্পর্শকাতর ভিডিও পর্নোগ্রাফিতে গেছে কি না খুঁজছে পুলিশ

জাবির হলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে জঙ্গলে ধর্ষণ, কোথায় আটকে আছে তদন্ত?

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :