পিরোজপুরের স্কুলছাত্র প্রিন্স হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

২০১৩ সালে পিরোজপুর জেলায় বহুল আলোচিত স্কুলছাত্র সাদমান সাকিব ওরফে প্রিন্স(১৪) হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হাসান নাঈমকে (৩৯) দীর্ঘ ১১ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২।
আসামি নাজমুল হাসান নাঈম পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী থানার মো. শফিকুল আলম হাওলাদারের ছেলে।
বুধবার সকালে র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে পিরোজপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র সাদমান সাকিব ওরফে প্রিন্সকে (১৪) ক্রিকেট খেলা নিয়ে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পরে আসামিরা ভিকটিমের লাশ গুমের জন্য লাশের সঙ্গে ইট বেঁধে পাশ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন লাশটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভিকটিম সাদমান সাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনার দুদিন পর নিহত সাদমান সাকিবের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামির বিরুদ্ধে অপরাধের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আসামি নাজমুল হাসান নাঈমকে(৩৯) মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকে আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।
(ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুযারি/এফএ)

মন্তব্য করুন