‘বাংলা ভাষা ব্যবহারে যত্নশীল হতে হবে’

বাংলা ভাষার ন্যায্য সম্মান আদায়ের লক্ষ্যে ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়। ভাষার ন্যায্য অধিকার বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বাঙ্গালির জাতিসত্তাগত চেতনা সুসংহত হতে পেরেছিল। শোষকের গ্রাস থেকে আত্মরক্ষার পাশাপাশি জাতীয়তাবোধ সঞ্চারিত হয়েছিল।
রাজনৈতিক চেতনা আর সাংস্কৃতিক কর্মপ্রেরণার যৌগপত্যে যে অবকাঠামো তৈরি হয়েছিল তা আজও বিদ্যমান। তাই ভাষা প্রয়োগকারীদের মনোবাস্তবতাগত দিকের ক্ষেত্রটিকে অন্তরে লালন করতে হবে। ঠিক একই সঙ্গে ভাষার যথাযথ ব্যবহারে যত্নশীল হতে হবে। কোনো অবস্থাতেই দ্বিধাদ্ধন্দ্বকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা, আমাদের জাতীয় ভাষা এবং আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা। এই ভাষাকে সর্বস্তরে ব্যবহার করতে পারলে আমাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ সহজতর হয়। এই ভাষার সঙ্গে ক্ষেত্রবিশেষে বিদেশি ভাষা ব্যবহার করলে যোগাযোগ সুষ্ঠু হয়, ভাষা সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হয়। সর্বস্তরে বাংলা ব্যবহার অবশ্যই জরুরি।
অন্তত যেখানে যেখানে সম্ভব সেখানে বাংলা ভাষার ব্যবহার শুরু করে দেওয়া উচিত।জীবন ও শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। যথাসম্ভব সর্বক্ষেত্রে বাংলাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে রাষ্ট্রকেই এর সর্বস্তরে চর্চায় মনোযোগী হতে হবে। সেসাথে ফেব্রুয়ারির যে চেতনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে শেখায় সে চেতনাকে প্রকৃত অর্থে ধারন করতে হবে।
লেখক: অধ্যাপক ও সভাপতি- বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/জেডএম)

মন্তব্য করুন