স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্লান প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে জাপান: পলক

স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্লান প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে যৌথ প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি বিশেষ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপান বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির আলোকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বা তারও আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জাপান দূতাবাস ও জাইকা এক সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্লান চূড়ান্তভাবে উদ্বোধন করা সম্ভব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে জাপানের মতো করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। জাপানের প্রযুক্তিখাত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুকে সোনার বাংলা বিনির্মাণে অনুপ্রাণিত করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারবাহিকতায় বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নে জাপান সরকার ও জাপানের বেসরকারি খাতের সহযোগিতা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল, মেট্রোরেল, মাতার বাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ব্রিজ, রেল, সড়ক এবং পরিবহনসহ অবকাঠামো খাতে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ রয়েছে। এসব জাপানি বিনিয়োগ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক আইসিটি সেক্টরে জাপানের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও সহযোগিতা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স প্রোগ্রাম কর্মসূচির আওতায় কয়েকশত ইঞ্জিনিয়ার জাপানে কাজ করছে। কয়েক হাজার ছাত্র আইটি প্রোগ্রামে উর্ত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা, জাপান এবং ঢাকার বাইরের অনেক শহরে জাপানিজ কোম্পানিতে কাজ করছে। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ৬০টি দেশে আইটি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে জাপান অন্যতম।
তিনি বলেন, গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরকালে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে স্বাক্ষরিত মেমোরেন্ডাম অব কোঅপারেশনের আওতায় দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা এবং প্রযুক্তি ও জ্ঞানের আদান প্রদানের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাপান যৌথভাবে কাজ কার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বৈঠকে টেলিকম ও আইসিটি সেক্টরে যেন অধিক জাপানিজ বিনিয়োগ হয় সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে। জাপানে রপ্তানি বাড়ানো, টেলিটক এবং টেশিস এ বিনিয়োগের যে সুযোগ রয়েছে সে বিষয়েও আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, পিপিপির আওতায় জাপানের ডাক ব্যবস্থা আধুনিকায়ন হয়েছে। আমাদের ডাকঘরের উন্নয়নে বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহায়তা চেয়েছি।
জাপানি রাষ্টদূত বলেন, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে সরকারের চাহিদা পূরণে আমরা কাজ করে যবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাইকার চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুউচি টমোহিদি এবং জেট্রোর ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইয়ামাদা কাজুনুরি।
(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/জেএ/এসআইএস)

মন্তব্য করুন