কিছু হলেই প্যারাসিটামল খান? জানুন কী ভয়ানক ক্ষতি করছেন

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৮

মাথায় যন্ত্রণা করুক কিংবা পেটে, উপশম পেতে প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলেন অনেকেই। এই বিষয়টিকেই ভালো চোখে দেখছেন না গবেষকরা। ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের এক সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, সাধারণ ব্যথানাশক প্যারাসিটামল লিভারের বিরাট ক্ষতি করতে পারে।

জনপ্রিয় এই ব্যথানাশক ওষুধ কীভাবে লিভারের ক্ষতি করে সে সম্পর্কে জানতে ইঁদুরের উপর গবেষণা করা হয়েছিল। এবার সেই তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে যে, এই ওষুধ কখনও কখনও এমনই কিছু মারাত্মক রোগ টেনে আনে, যা নিরাময় করা অত্যন্ত কঠিন। গবেষণার এই আবিষ্কার ওষুধের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে আরও সাহায্য করতে পারে।

এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন যে, কীভাবে প্যারাসিটামল মানুষ এবং ইঁদুর উভয়েরই লিভার কোষকে প্রভাবিত করে।

নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্যারাসিটামল লিভারের প্রতিবেশী কোষগুলোর প্রয়োজনীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ করে লিভারের ব্যাপক ক্ষতি করে দিতে পারে। এই ওষুধ কোষ প্রাচীরের সঙ্গে কোষগুলোর সংযোগ ভেঙে লিভারের টিস্যুর গঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কোষের সমস্ত দিক ধ্বংস করে কোষের মৃত্যু ঘটায়।

এই ধরনের কোষ ধ্বংসের সঙ্গে ক্যানসার, সিরোসিস এবং হেপাটাইটিসের মতো রোগ জড়িত। এমনটা কিন্তু আগে ছিল না।

গবেষকরা বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সাশ্রয়ী ব্যথার ওষুধ প্যারাসিটামল তখনই নিরাপদ এবং কার্যকরী, যখন এটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়।

যাহোক, ওষুধের কারণে লিভারের ক্ষতি একটি উল্লেখযোগ্য ক্লিনিকাল সমস্যা। তাই গবেষণার ফলাফলগুলো এটা দেখায় যে, প্যারাসিটামল ব্যবহারে সতর্কতার প্রয়োজন। নাহলে এর অনুপযুক্ত ব্যবহারের ফলে শরীরের যে ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে তা ধারণারও বাইরে।

তাই হেপাটোলজি ল্যাবরেটরি এবং ইনস্টিটিউট ফর বায়োইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ড. লিওনার্ড নেলসন প্যারাসিটামল সম্পর্কিত ক্ষতি বোঝার এবং এটি প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিয়েছেন।

বর্তমানে গবেষকরা পশু শরীরের প্যারাসিটামলের প্রভাব জানার জন্য একটি বিশেষ গবেষণা করবেন। পশু পরীক্ষার বিকল্প হিসাবে মানুষের লিভার কোষ ব্যবহার করা হবে। ওই লিভার কোষের উপর তারপরে তারা প্যারাসিটামলের বিভিন্ন ডোজ এবং সময়ের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন যে প্যারাসিটামলের বিষাক্ত ক্রিয়া কীভাবে লিভারের কোষগুলোর ক্ষতি করছে। এরপর নতুন ওষুধ তৈরির দিকেও এগোবেন তারা।

প্রধান বিজ্ঞানী অফিস এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস রিসার্চ কাউন্সিলের সহযোগিতায় এই গবেষণার দায়িত্বে রয়েছেন স্কটিশ ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সার্ভিস এবং এডিনবার্গ ও অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :