খুলনার বিপক্ষে জয় দিয়ে এবারের বিপিএল শেষ করল সিলেট
ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্সের মধ্যে একটি দল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লে-অফে ওঠার সুযোগ ছিল। দিনের প্রথম ম্যাচে বরিশাল জিতে যাওয়ায় সেখানেই স্বপ্নভঙ্গ খুলনার। এরপর সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তারা কোনো লড়াই–ই দেখাতে পারেনি। কম পুঁজি নিয়ে তারা নাজমুল হোসেন শান্তদের কাজ সহজ করে দিয়েছিল আগেই। নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেটের কাছে খুলনার হার ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনার দেওয়া ১২৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৬ উইকেটে জিতেছে সিলেট। হাতে ছিল ১২ বল। এ জয়ের ফলে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করল সিলেট।
রান তাড়া করতে নেমে ৬ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে ফেললেও নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। তৃতীয় উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। ৩৭ বলে ৩৯ রান করে শান্ত বিদায় নেন আরিফ আহমেদের ওভারে।
ইয়াসির হাল ধরে রেখেছিলেন অনেকক্ষণ। জেসন হোল্ডারের ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে তিনি করেন ৪৬ রান। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়ের মার। তাকে সঙ্গ দেওয়া মোহাম্মদ মিঠুন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে। তার সঙ্গে ১২ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন বেনি হাওয়েল।
এর আগে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৮ রান করে খুলনা। তাদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শফিকুল ইসলাম। আগের বলে ৪ হজমের পরেই এনামুল হককে বোল্ড করে দেন তিনি। ৯ বলে ১০ রান করেন খুলনা দলপতি। পরের ওভারে কোনো রান না দিয়ে খুলনাকে আরও চাপে ফেলেন সিলেটের ইংলিশ রিক্রুট সামিত প্যাটেল। কিন্তু এরপর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন ওপেনারের ভূমিকায় নামা আফিফ হোসেন।
অন্যপ্রান্তে একের পর এক বল হজম করতে থাকা হাবিবুর রহমান সোহান ১৪ বলে ৩ রান করে আউট হন বেনি হাওয়েলের ওভারে। ১১ রানে মাহমুদুল হাসান জয়কে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। ১২ বলে ১১ রান করেন জয়। আফিফ হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩১ বলে। পরের ওভারে বিদায় নেন তিনি। ৩৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে আফিফ করেন ৫২ রান।
প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার প্রত্যাশা পূরণ করার আগেই বিদায় নেন, ওয়েইন পারনেল তখন বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন সিলেটের বোলারদের। শফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় স্পেলে তিনি আউট হন ১৪ বলে ২১ রান করে। বাকিদের মধ্যে নাহিদুল ইসলাম ১১, আরিফ আহমেদ ৪ ও রুবেল হোসেন ৬ রান করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৩ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)