পুলিশ আধুনিক ও জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “সরকারের নানান পদক্ষেপের কারণে পুলিশ বাহিনী দক্ষ, আধুনিক ও জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে লজিস্টিক সাপোর্ট অত্যন্ত জরুরি, সে বিষয়ে যথাযথা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
‘পুলিশ বাহিনী মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করবে এটাই সব সময় কাম্য’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ, করোনায় সব সময় পুলিশ বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। কোভিডের কারণে কেউ মারা গেছেন, আত্মীয়স্বজন লাশ ফেলে চলে গেছেন কিন্তু পুলিশ বাহিনী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, কাফন-দাফন, সৎকারের ব্যবস্থা করেছে। ফোন করলে রাতে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। পুলিশ সব সময় মানুষের পাশে থেকে সেবা করে থাকে। এমনকি ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ মানুষকে সহায়তা করে। আমরা সবসময় চেয়েছি পুলিশ বাহিনীকে সেভাবে গড়ে তুলতে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “২০১৩, ২০১৪ এবং ২০২৩ সালে আমরা দেখেছি কীভাবে বাস, ট্রেন, সরকারি অফিস, ভূমি অফিস পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। চলন্ত বাসে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এতে পুলিশ যখন বাধা দিতে গেছে পুলিশকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারা হয়েছে; এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। এত কিছুর পরেও পুলিশ জীবন দিয়ে মানুষের জানমাল রক্ষা করেছে এবং তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম রুখে দিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২৮ অক্টোবর পুলিশ সদস্য আমিনুল ইসলামকে যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, রাজারবাগে ঢুকে হামলা, হাসপাতালে আক্রমণ করা, অ্যাম্বুলেন্স পোড়ানো হয়েছে। জামায়াত-বিএনপি সন্ত্রাসী এ ধরনের কার্যক্রম করেছে। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবেলা করেছে।”
এজন্য পুলিশ বাহিনীকে ‘আন্তরিক ধন্যবাদ’ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর পুলিশ-র্যাবসহ সব প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নিই। রাজারবাগ প্যারেড গ্রাউন্ডে আগে কিছু ছিল না। একটা মাঠ ছিল। এই প্যারেড গ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ সরকার করে দেয়।”
বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এর আগে বিপিএম ও পিপিএম পদক পাওয়া ৪০০ পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এরও আগে তিনি রাজারবাগে প্যারেড পরিদর্শন করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এসএস/এফএ)

মন্তব্য করুন