অধিবেশন আহ্বানে আপত্তি, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১ | প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৬

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের (এনএ) অধিবেশন আহ্বানে আপত্তি জানানোর কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় পরিষদের (এনএ) প্রথম অধিবেশন আহ্বান না করায় প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি নেতারা।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে গত সপ্তাহে দেশটির সংসদ বিষয়ক বিভাগ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে সারসংক্ষেপ পাঠায়। এর জবাবে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, সংসদের নিম্নকক্ষ সম্পূর্ণ না হওয়ায় তিনি অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন না।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির তোলা আপত্তি প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্টের আহ্বান ছাড়াই বৃহস্পকিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন প্রথম অধিবেশন ডেকেছেন স্পিকার।

এরআগে মঙ্গলবার ইসলামাবাদে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করায় প্রেসিডেন্ট আলভির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হবে।

বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনার সময় জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট আলভির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হবে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বর্তমানে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন না ডেকে সংবিধান লঙ্ঘন করার দায়ে আরেকটি মামলা দায়ের করা হবে।

তবে প্রেসিডেন্ট আলভিকে অভিশংসনের কোনও পরিকল্পনা পিপিপির নেই বলে জানিয়েছেন বিলাওয়াল।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। ১১ ফেব্রুয়ারি সেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি, তার মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ২৬৫টি আসনে। কোনো দল যদি সরকার গঠন করতে চায়, তাহলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অন্তত ১৩৩টি আসনে সেই দল বা জোটকে জয়ী হতে হবে।

কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)— ৯২টি আসন। পিটিআইয়ের পর এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)— ৭৫টি আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)— ৫৪টি আসন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)— ১৭টি আসন, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম- ফজলুর (জেইউআইএফ)—৪টি আসন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯টি আসন।

অর্থাৎ কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আসন পায়নি। এই অবস্থায় জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় পিএমএলএন এবং পিপিপির মধ্যে। ১২ দিন ধরে আলোচনার পর ঐকমত্যে পৌঁছায় পিএমএলএন এবং পিপিপি; সিদ্ধান্ত হয়— পিএমএলএনের চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর রাষ্ট্রপতি হবেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিতা ও দলটির কো চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি।

(ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :