বকশিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন: শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রচারণা

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে জামালপুরের বকশিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা দিন-রাত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন পৌরসভার টোল ও কর কমানোর আশাসহ নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি। হাজারো প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রার্থীদের যোগ্যতা ও নৈতিকতা দেখেই ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছে ভোটাররা। এদিকে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়েও উৎসাহিত অনেক ভোটার।
জামালপুরের বকশিগঞ্জে দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে পৌরসভা নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা। এবারের নির্বাচনে চার জন প্রার্থী মেয়র পদে অংশগ্রহণ করলেও মূল লড়াই হবে মোবাইল প্রতীকের ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুল, নারিকেল গাছ প্রতীকের ফকরুজ্জামান মতিন ও জগ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম সওদাগরের মধ্যে। এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে ২৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ১০জন।
বকশিগঞ্জ পৌরসভার প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নির্বাচনি পোস্টার কম দেখা গেলেও প্রার্থীরা দিন-রাত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন পৌরসভার টোল ও কর কমানোর আশা এবং উন্নত পৌরসভা গঠনসহ নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি।
মেয়র প্রার্থী ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুল বলেন, পৌরসভায় যে দুর্নীতি, এই দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা আমি করবো। পাশাপাশি পৌরসভায় আমার গরিব মানুষের যে বিভিন্ন রকম ট্যাক্স। অটো, ভ্যান রিকশা এগুলো থেকে টোল নেওয়া আমি বন্ধ করবো।
মেয়র প্রার্থী ফকরুজ্জামান মতিন বলেন, অটো রিকশা, ভ্যান- এগুলো বাজারে গেলে এখন যে ৩০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়, ১০ টাকা করে ভ্যান গাড়ির চাঁদা নেওয়া হয়, আমি পাস করতে পারি এসব আমি ফ্রি করে দেবো। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি করবো। এখানে যেন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে। বকশিগঞ্জ একটি শান্তি প্রিয় জায়গা। এখানে যেন অশান্তি সৃষ্টি না হয়।
মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম সওদাগর বলেন, বহিরাগত লোক যাতে না পৌরসভায় ঢুকে। সুন্দর একটা পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই সুন্দর পরিবেশ যেন নষ্ট না করে। জনগণ যাকে ভোট দেবে তিনিই নির্বাচিত হবেন।
তবে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ভালোভাবে চলাফেরার জন্য প্রার্থীর কাছে এলাকাবাসী চায় রাস্তাঘাট। এলাকাবাসী যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই ভোট দেবে।
হাজারো প্রতিশ্রুতি দিলেও সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট প্রদানের আশা করছেন সাধারণ ভোটাররা। এছাড়াও প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়েও উৎসাহিত অনেকে।
জামালপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, আমরা আশা রাখি কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছাড়াই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এখানে অনুষ্ঠিত হবে। কোনো প্রার্থী বা কোনো ব্যক্তি যদি নির্বাচনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে সেটা অবশ্যই কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কোনো অবস্থাতেই কোনো বেআইনি কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণ যোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা সকলেই বদ্ধ পরিকর।
উল্লেখ, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বকশিগঞ্জ পৌরসভার এবারের নির্বাচনে ১২টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৩৫ হাজার ৫১৮ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫০৯ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৫০৯ জন।
(ঢাকাটাইমস/৪মার্চ/এআর)

মন্তব্য করুন