অগ্নিহত্যার মুখোমুখি যে বাংলাদেশ

ড. হুমায়ুন আজাদের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম নিউইয়র্কে। সেখানে তিনি বাংলাদেশ বিষয়ে বলেছিলেন- 'এই দেশটিকে সবাই ভোগ করতে চায়। কেউ ভালোবাসে না!' তার এই বেদনার অনেক কারণ ছিল। কারণ এই- দেশটি ১৯৭১ সালে বিজয় অর্জন করার পরেও নানা কালোশক্তি দেশটির বুকের উপর পাথর হয়ে জেঁকে বসেছিল। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সামরিক জান্তারা নানাভাবে মহড়া দেখায়। অস্ত্র তুলে দেওয়া হয় ছাত্রদের হাতে! সে এক বিষাদময় কাহিনি! কিন্তু এরপর? এরপর একটি দুর্নীতিবাজ, ভোগবাদী চক্র এই দেশের সবকিছু হরণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এদের কারো কারো কাছে জীবনে মূল্য জলের চেয়েও কম!
সম্প্রতি বেইলি রোডে যে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে- এর জন্য দায়ী কে, তা নিয়ে অনেক কথা উঠছে। অনেকেই তাদের মতামত দিচ্ছেন। এরেস্ট করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে- বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে; রিপোর্ট দেওয়া হবে। কিন্তু তারপর? তারপরও কি থেমে থাকবে এই অবৈধ অগ্নিহত্যার প্রকার?
নিকট অতীতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড়ো হৃদয়বিদারক ভবন দুর্ঘটনা দ্বারা হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে সাভারের রানাপ্লাজা। রানাপ্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ২৪ শে এপ্রিল ২০১৩ সালে সকাল ৮:৪৫-এ সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনের কয়েকটি তলা নিচে ডেবে যায়। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়ে। এ দুর্ঘটনায় ১১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়- যা বিশ্বের ইতিহাসে ৩য় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
সাধারণ জনগণ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালায় তখন। ভবনটিতে পোশাক কারখানা, একটি ব্যাংক এবং একাধিক অন্য দোকান ছিল, সকালে ব্যস্ত সময়ে এই ধসের ঘটনাটি ঘটে। ভবনটিতে ফাটল থাকার কারণে ভবন না ব্যবহারের সতর্কবার্তা থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছিল। এর মাত্র পাঁচ মাস আগে ঢাকা পোশাক কারখানায় একটি বড়ো অগ্নিকাণ্ডের পর এই দুর্ঘটনাটি হয়, যেটি বাংলাদেশে ঘটা সবচেয়ে বড়ো ইন্ডাস্ট্রিয়াল দুর্ঘটনা।
২০১৩ সালের ২৩শে এপ্রিল সাভারের রানাপ্লাজা ভবনের তৃতীয় তলার পিলার ও দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। উচিত ছিল কাঠামো প্রকৌশলীদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিরাপদ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা। কিন্তু পাঁচ পোশাক কারখানার মালিক ও তাঁদের লোকজন পরদিন ২৪শে এপ্রিল শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন। এর সঙ্গে যোগ দেন রানাপ্লাজা ভবনের মালিক খালেক ও তাঁর ছেলে সোহেল রানা। সোহেল রানা সেদিন দম্ভ করে বলেছিলেন- ‘আগামী ১০০ বছরেও রানা প্লাজা ভেঙে পড়বে না।’ অবহেলা শুধু যে ২৩শে এপ্রিলেই ঘটেছিল তা নয়, রানাপ্লাজা তৈরির প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ম ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন ভবনটির মালিক ও তাঁর ছেলে, যা রানাপ্লাজা ভবনটিকে একটি মৃত্যুকূপে পরিণত করে।
এ রকম একটা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ঘটনার দিন ২৪শে এপ্রিল ২০১৩ সকালে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর যখন একসঙ্গে পোশাক কারখানাগুলোর তিনটি জেনারেটর চালু করে, তখনই রানাপ্লাজা ভবনটি বিকট শব্দ করে ধসে পড়ে আর করুণ অকালমৃত্যু হয় ১ হাজার ১৩৫ শ্রমিকের, পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন আরও ১ হাজার ১৬৯ জন। এ ঘটনায় ভবনমালিক, ভবন নির্মাণ ও তদারকির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও ভবনে স্থাপিত গার্মেন্টস কারখানার মালিকদের চরম অবহেলা রয়েছে, এটা তো খুবই স্পষ্ট। এর সুবিচার কি হয়েছে? কেন হয়নি?
রানাপ্লাজার ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা অসংগঠিত, ক্ষমতা থেকে বহু দূরে তাদের অবস্থান। অন্যদিকে অভিযুক্ত ভবনমালিক, কারখানামালিক কিংবা বিভিন্ন তদারকি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা নানাভাবেই ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত। ফলে আইনি-বেআইনি নানা উপায়ে তাদের পক্ষে বিচারে বাধা দেওয়া সম্ভব হয়। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র ও সরকার এখানে যে রকম কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারত, তা করেনি বলেই এই ঘটনার তদন্ত ও বিচারে অবহেলা ও দীর্ঘসূত্রতা দেখা গেছে শুরু থেকেই।
অবহেলাজনিত হত্যা মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হতেই সময় লেগেছে ৯ বছর। ২০১৩ সালে অবহেলাজনিত হত্যা মামলা করার পর তদন্ত করে অভিযোগপত্র তৈরি করতে সময় লাগে দুই বছর। ২০১৫ সালের এপ্রিলে ভবনমালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপর অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারের কার্যক্রম শুরুর আদেশ হয় ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। কিন্তু এই অভিযোগ গঠনের পরপরই ৮ আসামি উচ্চ আদালতে গেলে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এভাবে দুনিয়া তোলপাড় করা সহস্রাধিক শ্রমিক মৃত্যুর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পাঁচ বছর ধরে স্থগিত থাকার পর ২০২২ সালের ৩১শে জানুয়ারি থেকে শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে- এরপর গত ১ বছর ৩ মাসে মাত্র ৩৬ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। দুজন আসামি মারা যাওয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ৩৯। এর মধ্যে জামিনে আছেন ৩১ জন, পলাতক ৭ জন। রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন নাকচ হয়।
২০১০ সালের ৩রা জুন রাত ৯টার দিকে রাজধানীর চানখারপুলের নিমতলীতে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন ধরে যায় পাশের কেমিক্যালের গোডাউনে। মুহূর্তেই দাহ্য পদার্থ ও কেমিক্যালে ঠাঁসা ওই এলাকার বেশ কয়েকটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। যখন ভয়ংকর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যান ১২৪ জন। আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক। পুড়ে যায় ২৩টি বসতবাড়ি, দোকান ও কারখানা।
২০১৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় হঠাৎ বিকট শব্দে সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওয়াহেদ ম্যানশনে থাকা কেমিক্যালের কারণে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। যা ছড়িয়ে পড়ে সড়কে যানজটে আটকে থাকা পিকআপ, প্রাইভেট কার, রিকশা, ঠেলাগাড়ি ও মোটরসাইকেলে। কিছু বুঝে উঠার আগেই যানজটে আটকে থাকা অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। চুড়িহাট্টা মোড় হয়ে ওঠে যেন মৃত্যুকূপ! আগুন লাগার ১৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। তার আগেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ৬৭ জনের। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭১-এ। এতে আরও আহত হন কয়েকশ মানুষ।
২০২১ সালের ২৭শে জুন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকার ‘রাখি নীড়’ নামে একটি ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণ হয়। আড়ংয়ের শোরুম ও রাশমনো হাসপাতালের উল্টো দিকের মূল সড়ক লাগোয়া সেই ভবন। ওই ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন দুই শতাধিক ব্যক্তি। বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই বিকট ছিল যে প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা বলেছেন, এমন বিকট আওয়াজ তারা আগে কখনো শুনেনি। ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ-কেউ বলেছেন, শর্মা হাউস নামে ফুডশপে গ্যাস জমে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে, প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই ট্রান্সফরমারের কথা বলেছেন। ২০১২-এর নভেম্বর মাসে বৈশ্বিক রপ্তানিকারক একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১১২ শ্রমিক নিহত ও ১৫০ জনের বেশি আহত হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছিল।
এমন অনেক ঘটনার উল্লেখ করা যাবে। এখন বড়ো সমস্যাটি হচ্ছে অবৈধভাবে বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে অগণিত রেস্টুরেন্ট ব্যবসা গড়ে তোলা। অনেকেই বলছেন, এগুলো এক-একটি 'টাইম বম্ব'! কত অনিরাপদ এমন কথা! ভবন তৈরি হয়েছে আবাসিকের ডিজাইন দিয়ে। সেখানে করা হচ্ছে গ্যাসচালিত সিলিন্ডার জ্বালানো খাদ্যের দোকান! দেশের প্রতিটি বড়ো শহরেই এমন টাইম বম্ব এখন দাঁড়িয়ে আছে বিষ্ফোরণের অপেক্ষায়! সেটাই বলছেন স্থাপত্যবিদরা। কিন্তু কথা হচ্ছে সরকার এই বিষয়ে কী করছে? তারা কি শুধু 'আইনি ব্যবস্থার' দোহাই দিয়েই পার পেয়ে যাবেন?
সম্প্রতি জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এই আদেশটি মানতে হবে। মানা দরকার এই রাষ্ট্র এই প্রজন্মকে রক্ষার তাগিতেই। বাংলাদেশে যে হারে এখন ভবন তৈরি হচ্ছে, তা অগ্নি প্রতিরোধক করে গড়ে তুলতে সবাইকে মনোযোগী হতে হবে।
একটি ভবন নির্মাণের সময় কী ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিকম্প এবং আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা ঠেকাতে এ ধরনের উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে দরজা এবং দেওয়াল আগুন প্রতিরোধী হলে ভালো হয়। এছাড়া ঘরের সিলিং, রান্নাঘরের আসবাবপত্র আগুন প্রতিরোধী পদার্থে নির্মাণ এবং আগুন প্রতিরোধী তার ব্যবহার করলে আগুন লাগলেও সেটি ছড়িয়ে পড়ার ভয় থাকে না। সিনথেটিক বা হাইড্রোকার্বন উপাদান থাকে এমন কোনো পদার্থ দিয়ে ভবনের ভেতরের সাজসজ্জা না করাই ভালো।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার পরও যদি কোনো ভবনে আগুন লাগে তাহলে সেক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার একটা উপায় হচ্ছে ফায়ার এবং স্মোক অ্যালার্ম সিস্টেম বসানো এবং সেটি ঠিকমতো কাজ করে কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, অ্যালার্ম সিস্টেম কাজ করলে কোনো এক জায়গায় আগুন লাগলে পুরো ভবনের বাসিন্দারাই আগুন সম্পর্কে জানতে পারে এবং দ্রুত তারা ভবন খালি করে নিচে নেমে আসতে পারে। ফলে প্রাণহানি ব্যাপকভাবে কমানো সম্ভব।
যেকোনো ভবনেই আগুন লাগলে সেটি থেকে বের হয়ে আসার জন্য বাইরে একটা জরুরি বর্হিগমন পথ থাকতে হবে। এটা হতে হবে এমন একটি পথ যেখানে আগুন এবং ধোয়া প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ কোনো ভবনে আগুন লাগলে বা ভূমিকম্প হলে ওই ভবনের লিফট ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রতিটি ভবনেই অগ্নি নির্বাপণ সিলিন্ডার বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকাটা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে এগুলো ব্যবহার করতে জানতে হবে ভবনের বাসিন্দাদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো একটি ভবনে আগুন লাগার পর সেটি ছড়িয়ে পড়তে কিছুটা হলেও সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে যদি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দিয়ে সেটি নিভিয়ে ফেলা যায় তাহলে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। আগুন লাগার পর প্রথম দুই মিনিটকে বলা হয় প্লাটিনাম আওয়ার বা সবচেয়ে মূল্যবান সময়। এই সময়ে ঘাবড়ে না গিয়ে পরিস্থিতি সাহসের সাথে মোকাবিলা করতে হবে।
আগুন নেভানোর জন্য একটা প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা হচ্ছে স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম। এটি কোনো একটি ভবনের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে যুক্ত থাকে। এই ব্যবস্থায় কোনো একটি স্থানে তাপমাত্রা ৫৭ ডিগ্রির বেশি হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিস্ফোরিত হয়ে পানি ছিটিয়ে পড়তে থাকে। ফলে আগুন নিভে যায়। বড়ো বড়ো বাণিজ্যিক বা কারখানা ভবনে সাধারণত এগুলো ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে আবাসিক ভবনগুলোতেও এগুলোর ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
যে দুটি বিষয় খুবই দরকারি, তা হলো অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা ছাড়া কোনো ভবন নির্মাণেরই অনুমোদন দেওয়া যাবে না এবং নির্মিত ভবনে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে অবৈধ ব্যবসা করায় কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। একইসাথে ফায়ার সার্ভিস, প্রশাসক টিম, হেলথ এন্ড হাইজিন বিভাগ নিয়মিত দেশের ঘিঞ্জিলাগা রেস্টুরেন্টগুলো নিয়মিত মনিটরিং করবে। মনে রাখতে হবে- কোনো ক্ষমতাবান মালিকের কাছে সরকারি কর্মকর্তারা যেন নতজানু না হন।ফকির ইলিয়াস: কলাম লেখক, কবি ও সাংবাদিক

মন্তব্য করুন